খুল্লমখুল্লা মদ্যপান করে অভব্য আচরণ, প্রতিবাদ করায় পুলিশকে পেটাল পুলিশ


মদ্যপান করে প্রকাশ্যে অভব্য আচরণের অভিযোগ। প্রতিবাদ করে আক্রান্ত পুলিশকর্মী। অভিযোগ, পুলিশকর্মীকে পেটানোর অভিযোগ উঠল মদ্যপ পুলিশের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত পুলিশকর্মীর নাম সুখসাগর সিং। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে যাদপবুর থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, আক্রান্ত পুলিশকর্মী সুখসাগর সিং চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষী। অভিযোগ দশমীর রাতে তিনি যখন কমিশনারের কনভয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তখনই খেয়াল করেন একদল পুলিশকর্মী মদ্যপান করছে। কর্মী আবাসনের মধ্যেই চলছে মদ্যপান, হুল্লোড়, চেঁচামেচি। রাস্তা থেকে কোনও মহিলাকে যেতে দেখলে কটূক্তিও করা হচ্ছে। পুলিশকর্মীদের এহেন অভব্য আচরণ দেখে রীতিমতো বিরক্ত হন ওই দেহরক্ষী। নিজেই এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, প্রতিবাদ করতেই তাঁর দিকে ছুটে আসে একের পর এক আঘাত। কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্ট তাঁর মুখ লক্ষ্য করে লাথি মারে। কোনওরকমে বাঁ চোখটি বেঁচে যায়। তবে চোখের কোণে গুরুতর আঘাত লাগে। সেই সঙ্গে চলে বেধড়ক মারধর। আক্রান্ত দেহরক্ষী চেঁচামেচি শুরু করলেও অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সকালেই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই দেহরক্ষী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সুখসাগর সিং জানিয়েছেন, প্রকাশ্যে পুলিশকর্মীদের মদ্যপানের সঙ্গে কটূক্তি করতে দেখে তিনি স্থির থাকতে পারেননি। প্রতিবাদ করতেই হামলার মুখে পড়েন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে ফায়ার ব্রিগেডের কর্মী বুবাই সামন্ত, কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট অনিশ হাঁসদা, কলকাতা পুলিশের হোমগার্ড, শিবকুমার সিং ও বেসরকারি সংস্থার কর্মী সিদ্ধার্থ পাল। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে জনা তিরিশের একটা দলও ছিল। তারা স্থানীয় যুবক। এরা সবাই দশমীর রাতে মদ্যপান করে অভব্য আচরণ করছিল। দু'জন গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। যদিও বিষয়টি নিয়ে পদস্থ পুলিশকর্তারা মুখ না খুললেও রক্ষকের অভব্য আচরণের ঘটনায় দৃশ্যতই অস্বস্তিতে কলকাতার পুলিশ মহল।