জাকির নায়েককে প্রত্যার্পণের সিদ্ধান্ত নেবে আদালত, মন্তব্য মালয়েশীয় মন্ত্রীর


জাকির নায়েককে ভারতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে দোলাচলে মালয়েশিয়া। আদালতের রায়েই হতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে জানালেন সে দেশের শীর্ষ স্থানীয় মন্ত্রী। 

আর্থিক প্রতারণা ও সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ এড়াতে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ভারত ছাড়েন জাকির নায়েক। গত জানুয়ারি মাসে মালয়েশিয়া সরকারকে নায়েককে প্রত্যার্পণের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় দিল্লি।

সম্প্রতি ভারত সফরে এসে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলা সেগারান জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে এক বৈঠকে তাঁর কাছে নায়েককে ফেরত পাঠানোর আবেদন জানান বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। পিটিআই-কে তিনি জানান, 'জাকির নায়েকের সাম্প্রতিক অবস্থা সম্পর্কে উনি খোঁজ নিচ্ছিলেন। মালয়েশিয়া থেকে তাকে পেরত পাঠানো হবে কি না, সেই সম্পর্কে জানতে চান। আমি বলেছি, এই ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকার কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।'

সেগারান আরও জানান, নায়েকের প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি মালয়েশিয়া সরকার আদালতের সিদ্ধান্তের উপরেও ছাড়তে পারে। তিনি বলেন, 'যদি সরকার তাঁকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমাদের দিক থেকে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে, যদিও আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন নায়েক। কিন্তু যদি সরকার তাঁকে ফেরাতে না চায়, সেক্ষেত্রে বিষয়টি আদালতে পাঠিয়ে রায়ের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।' 

এদিকে, গত জুলাই মাসে মালয়েশিয়ার সংবাদপত্রে নায়েকের যে বিবৃতি প্রকাশিত হয়, তাতে তিনি সেদেশের প্রধানমন্ত্রী মহাথির মহম্মদকে 'নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ' থেকে বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য ধন্যবাদ জানান। স্বয়ং মহাথিরও জুলাই মাসে মন্তব্য করেন যে, মালয়েশিয়ায় নতুন কোনও সমস্যা সৃষ্টি না করলে জাকির নায়েককে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে না। পূর্বতন মালয়েশীয় সরকার অবশ্য নায়েককে স্থায়ী নাগরিকের মর্যাদা দিয়েছিল। 

নায়েকের বিরুদ্ধে নবীন প্রজন্মকে সন্ত্রাসে যোগ দেওয়ার অনুপ্রেরণা জোগানোর কারণে আদালতে তার আগে অভিযোগ দাখিল করেছিল এনআইএ। তাঁর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ এবং সাম্প্রদায়িক বিবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগও তোলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।