পুলিশের স্পেশ্যাল অফিসার হিজবুলে যোগ দিলেন

আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি৷ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশ্যাল অফিসার আদিল বাসির৷ গত সপ্তাহে কাশ্মীর পুলিশের এই শীর্ষ আধিকারিকই পিডিপি বিধায়ক আইজাজ আহমেদের বাড়ি থেকে ছয়টি একে-৪৭ রাইফেল চুরি করে চম্পট দেয়৷ এরপর তাঁর খোঁজও শুরু করে পুলিশ৷ এবার পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে সোজা হিজবুলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করলেন আদিল বাসির৷ ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে একটি ছবি৷ যেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে হিজবুল কমান্ডারদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে এবং তাঁর হাতে রয়েছে খোয়া যাওয়া দুটি একে-৪৭ রাইফেল৷

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সোপিয়ান জেলায় ওই বিধায়কের বাড়ি থেকে মোট ১০টি রাইফেল চুরি করার৷ যার মধ্যে রয়েছে ছয়টি একে-৪৭ রাইফেল, চারটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পিস্তল৷ তার খোঁজে, উপত্যকায় হাই  অ্যালার্ট জারি করে কাশ্মীর পুলিশ৷ কেউ তার খোঁজ দিতে পারলেই সেই ব্যক্তির জন্য ২ লক্ষ টাকা পুরষ্কারও ঘোষিত হয়৷ তবে পুলিশের সব চেষ্টাই বৃথা গেল৷ প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত শক্ত করলেন এই পুলিশ আধিকারিক৷ তবে এই ঘটনা উপত্যকায় নতুন নয়৷ গত জুন মাসেও একই রকমের ঘটনা ঘটে৷ সেইবারও হিজবুলে যোগ দেয় পুলওয়ামা জেলা পুলিশের এসপি ইরফান আহমেদ দার৷ তার আগে পাম্পোর পুলিশ স্টেশন থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে চম্পট দেয় এই শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক৷

একের পর এক পুলিশ অফিসারদের জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানোর বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছে না কাশ্মীর প্রশাসন৷ তাদের যুক্তি, এর পিছনে কাজ করছে ভয় ও প্রাণনাশের হুমকি৷ কারণ, গত কয়েকদিনে কাশ্মীর পুলিশের বেশ কয়েকজন আধিকারিককে অপহরণ করে খুন করেছে পাক মদতপুষ্ট হিজবুল জঙ্গিরা৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে হুমকি ভিডিও৷ যাতে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পুলিশ আধিকারিকদের৷ বলা হয়েছে, কাজ থেকে ইস্তফা দিতে৷ সেই হুমকির প্রভাবও পড়েছে মারাত্মক৷ ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক৷