রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম মেনেই তৈরি হোয়াটসঅ্যাপের পেমেন্ট সার্ভিস


বন্ধুকে সহজে টাকা পাঠাতে চান? তাহলে ব্যবহার করতেই পারেন হোয়াটসঅ্যাপের পেমেন্ট অপশন। কিন্তু ভাবছেন ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল কিছুদিন আগেই, তাহলে কি আদৌ ভরসা করা যায় হোয়াটসঅ্যাপের পেমেন্ট অপশনকে? সদ্য হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা মেনেই যাবতীয় লেনদেনের পদ্ধতি নির্ধারণ করেছে।

বর্তমানে ভারতে প্রায় ১ মিলিয়ান ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপের পেমেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করছেন। মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, সমগ্র সিস্টেমটি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা মেনেই তৈরি করা হয়েছে। পেমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আওতায় সম্পন্ন হয়ে থাকে। ৫ এপ্রিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছিল, ভারতে সমস্ত পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে পেমেন্টের সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এদিকে, হোয়াটসঅ্যাপ একমাত্র বড় বিদেশী খেলোয়াড়, যার আওতায় রয়েছে বহু গ্রাহক। সংস্থা থেকে মনে করা হচ্ছে, এই মূহুর্তে একচেটিয়া ব্যবসা করতে সক্ষম তারা। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে জানানো হয়েছে, এবার থেকে সকলেই নিরাপদেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে টাকাপয়সা লেনদেন করতে পারবেন নিশ্চিন্তে।

তবে অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপ ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) থেকে সম্পূর্ণ রোল আউটের জন্য নিয়ন্ত্রক অনুমোদন পাবে কিনা তা স্পষ্ট নয়, যেমন কোনও তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে তার ডেটা ভাগ করা হয় কিনা সে বিষয়েও হোয়াটসঅ্যাপের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি মন্ত্রক এনপিসিআইকে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি আদৌ করে কিনা তা নিয়ে স্পষ্ট লিখিত অনুমোদন জমা দিতে বলেছে।

একটি বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র বলেন, "ভারতে প্রায় ১ মিলিয়ন মানুষ একে অপরের কাছে টাকা পাঠানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ পেমেন্ট সার্ভিস ব্যবহার করে থাকেন। ভারতের পেমেন্ট ডেটা সার্কুলারের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ আমরা এমন একটি সিস্টেম তৈরি করেছি যা ভারতে পেমেন্ট-সম্পর্কিত তথ্য স্থানীয়ভাবে সঞ্চয় করে রাখে।" হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই পেমেন্ট ব্যবস্থা ইউজারদের জীবনে চলার পথে সুবিধা করে দেবে এবং শীঘ্রই এই বৈশিষ্ট্যটি ভারতের সব ইউজারদের মধ্যে দরকারি ফিচার হয়ে উঠবে।