পেট্রল-ডিজেলে আড়াই টাকা কমাল কেন্দ্র, রাজ্যকেও সম পরিমাণ কমানোর আর্জি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর


দাম কমছে পেট্রল ও ডিজেলের। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি একটি সাংবাদিক বৈঠকে জ্বালানিতে দাম কমানোর কথা ঘোষণা করেন। পেট্রল এবং ডিজেল উভয় ক্ষেত্রেই প্রতি লিটারে আড়াই টাকা করে দাম কমছে। এর মধ্যে কেন্দ্র প্রতি লিটারে  দেড় টাকা করে অন্তঃশুল্ক হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্যদিকে, তেল সংস্থাগুলি লিটার প্রতি ছাড় দেবে এক টাকা করে। এর ফলে ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দামে খানিকটা হলেও লাগাম টানা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন দেশের মানুষ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, তিন রাজ্যের নির্বাচনের আগেই এটি একটি বড়সড় সিদ্ধান্ত।

অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, আড়াই টাকার মধ্যে দেড় টাকা শুল্ক ছাড়ের জন্য এবং বাকি এক টাকা কমানো হল তৈলসংস্থাগুলির মাধ্যমে সরকারের প্রাপ্য অর্থ থেকে। অরুণ জেটলি জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি জন্য বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের ভয়ানক বৃদ্ধিকেই দায়ী করেন।

এই আড়াই টাকা ছাড় দেওয়ার বিষয়টি কেন্দ্র এবং তৈল সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে জানান জেটলি। তিনি বলেন, "আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, রাজ্যগুলিও এবার ইতিবাচক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জ্বালানি তেলের মূল্যের ব্যাপারে"। আর হলও ঠিক তাই, প্রথমেই ইতিবাচক সাড়া মিলল বিজেপিশাসিত রাজ্যের তরফেই। জেটলির ঘোষণার পরেই গুজরাতের মুখমন্ত্রী বিজয় রূপাণি ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস ঘোষণা করলেন এই দুই রাজ্যও আড়াই টাকা করে কমাচ্ছে পেট্রলের দাম। অর্থাৎ সব মিলে এ দুটি রাজ্যে মোট পাঁচ টাকা করে কমল পেট্রলের দাম।

দেশের অর্থনীতি ক্রমশ ভয়ানক হয়ে উঠছে বলে বিরোধীদের যে অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে জেটলির পেট্রলের দাম কমানোর 'উপযুক্ত জবাব' বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

জেটলি এ দিন রাজ্যগুলিকেও কেন্দ্রের পথ অনুসরণ করেই জ্বালানি তেলের ওপরে চাপানো করকে কমানোর জন্য অনুরোধ করেন। অর্থমন্ত্রীর এই আবেদনের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যের তরফে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এই কর ছাড়ের ফলে সরকারের রাজস্ব খাতে ১০,৫০০ কোটি টাকা কম হবে। কারণ পেট্রল ও ডিজেল থেকে পাওয়া রাজস্ব কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস।