সবরীমালা মন্দিরে মহিলা প্রবেশ নিয়ে উত্তপ্ত গোটা কেরল, ১২ ঘণ্টা বনধ!


সবরীমালা মন্দিরে মহিলা প্রবেশ নিয়ে উত্তপ্ত গোটা কেরল৷ বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে মহিলারাও ওই মন্দিরে ঢুকতে পারবেন বলেই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ যদিও নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিক্ষোভে শামিল সবরীমালা রক্ষা কমিটির সদস্যরা৷ তাদের বিক্ষোভ-আন্দোলনের জেরে কোনও মহিলাই এখনও পর্যন্ত ওই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি৷ আন্দোলনের আঁচ বজায় রয়েছে বৃহস্পতিবারেও৷ কেরল জুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধ পালন করছে সবরীমালা রক্ষা কমিটির সদস্যরা৷ যেকোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন৷ সান্নিধানাম, পাম্বা, নীলাক্কাল এবং ইলাভুঙ্গালে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা৷ বনধের দিনে এখনও পর্যন্ত সবরীমালা মন্দির চত্বরে নতুন করে কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি৷

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ ফুট উঁচুতে পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত সবরীমালা মন্দিরে ১০০ বছর পর মহিলাদের প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে মহিলাদের মন্দিরে ঢোকার কথা৷ ১০০ বছর ধরেই মন্দিরের প্রবেশ দ্বারে একটি বোর্ড লাগানো ছিল। তাতে লেখা ছিল, '১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার নেই।' মঙ্গলবার রাতে বোর্ডটিও খুলে ফেলে মন্দির কর্তৃপক্ষ। শতাব্দী প্রাচীন ধর্মীয় রীতিকে বাঁচাতে মরিয়া হাজার হাজার ভক্ত। তার প্রতিবাদে ভক্তদের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা কেরলে। মঙ্গলবার থেকেই ভক্তরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মন্দিরের কাছাকাছি পথে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় মহিলাদের। ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় মহিলা সাংবাদিকদেরও। শুধুমাত্র মহিলা ভক্তেরাই নন, বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে ছাড় পাননি মহিলা পুলিশেরাও। মন্দিরে নিরাপত্তার জন্য অনেক মহিলা পুলিশ দেওয়ার কথা ছিল। মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় তাঁদেরও।

মন্দিরের ২০ কিলোমিটার আগে সবরীমালা আচার সংরক্ষণ সমিতি নামে এক সংগঠন একটি ক্যাম্প করে বসেছিল। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় তারা৷ ওই ক্যাম্পে বসে অনেক বিক্ষোভকারী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীদের হটাতে গেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন তাঁরা। গায়ে আগুন লাগিয়ে গণ আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷