সই করতে পারছেন না প্রধান শিক্ষক, অর্থ সংকটে স্কুল


মালদা : অসুস্থ তাই স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ নথিতে স্বাক্ষর করতে পারছেন না বাস্তুহারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনৎ কুমার সাহা। ফলে অচল হয়ে পড়েছে স্কুলের বিভিন্ন পরিষেবা। পড়ুয়াদের স্কুলের পোশাক, মিড ডে মিল, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশন আটকে রয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাকি শিক্ষকদের।

মালদা শহরের উমেশচন্দ্র বাস্তুহারা উচ্চ বিদ্যালয় বাঁশবাড়ি স্কুল নামেও পরিচিত। বর্তমানে স্কুলটির দায়িত্বে রয়েছেন সনৎকুমার সাহা। দু'বছর আগে তিনি পারকিনসনস রোগের শিকার হন। চিকিৎসার পরেও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। এমনটাই দাবি স্কুলের অন্য শিক্ষকদের।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তিনি মেডিকেল লিভে রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি এক ডাক্তারের থেকে ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে স্কুলে যোগদান করতে আসেন। কিন্তু অফিসের ফাইলপত্রে স্বাক্ষর না করতে পারায় ফের ছুটিতে চলে যান। 

সনৎবাবু স্কুলের বিভিন্ন ফাইলে সই করতে না পারায় একাধিক সমস্যায় পড়েছে বাঁশবাড়ি স্কুল। ব্যাঙ্কের চেকে তাঁর স্বাক্ষর না মেলায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ টাকা আটকে দিয়েছে। গত এক বছর ধরে পড়ুয়াদের পোশাক বিতরণ হয়নি, মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মিড ডে মিল। এমনকি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশনও আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের।

শিক্ষক উমা ঠাকুর, অমিত সরকার, অলক কুমার দাসরা বলেন, চলতি মাসের এক তারিখ থেকে স্কুলে পুনরায় যোগ দেওয়ার জন্য মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট সহ সনৎবাবু আবেদন করেন। সনৎবাবু নিজে চলাফেরা করতে পারেন না, নিজে সই করতে পারেন না, এমনকি তিনি নিজে কথা পর্যন্ত বলতে পারেন না। এই অবস্থায় তিনি কী করে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে স্কুলে যোগদান করতে চাইছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাকি শিক্ষকরা।

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তাপসকুমার বিশ্বাস জানান, উমেশচন্দ্র বাস্তুহারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তিনি এর আগেই একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। তিনি জানতে পেরেছেন, প্রধান শিক্ষক স্কুলে কাজে যোগদান করার একটি আবেদন স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতির কাছে জমা দিয়েছেন। সমস্যা মেটাতে আজ দুপুর তিনটেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।