প্রেমিকের নাম বাড়িতে বলে দিল ভাই, গলা টিপে খুন করল দিদি


লুকিয়ে প্রেম। মাঝেমধ্যে গোপনে সাক্ষাৎ। কিন্তু, সেটাই দেখে ফেলেছিল পাঁচ বছরের ভাই। আর শিশুসুলভ সরলতায় দিদির বয়ফ্রেন্ডের নাম বাড়িতে বলে দিয়েছিল সে। কিন্তু সেই 'অপরাধ'-এর মাশুল দিতে হল প্রাণ দিয়ে। ছোট্ট ভাইকে খুন করল তারই দিদি! লুধিয়ানার অমরজিৎ কলোনি এলাকায় এমনই একটি খুনের ঘটনা সামনে আসায় অত্যন্ত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশীদের দাবি, এই ঘটনায় কোনও অনুতাপ নেই বছর উনিশের ওই দিদির।

গত ৭ অক্টোবর রবিবার বাড়ির পাশেই একটি বস্তায় ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করার পর অভিযুক্ত বছর উনিশের রেণু কনৌজিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের দাবি, কী ভাবে খুন করা হয়েছিল, কখন কী ভাবে ভাইয়ের দেহ বাড়ির বাইরে ফেলেছিল, সবই জানিয়েছে রেণু। রেণুর বয়ান অনুযায়ী, শনিবার বিকেলে যখন বাড়িতে কেউ ছিল না, সেই সময় গলা টিপে ভাইকে খুন করে সে। তার পর তার মৃতদেহ একটি চটের বস্তায় ভরে খাটের নীচে লুকিয়ে রাখে। সন্ধ্যায় বাবা-মা বাড়িতে ফিরলে ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিনয় করে। সবাই যখন খোঁজাখুঁজি করছে, সেই দলে রেণুও ছিল। কিন্তু রাতে আর ভাইকে পাওয়া যায়নি।

এর পর ভোর চারটে নাগাদ গোপনে বস্তাবন্দি দেহ বাড়ির পাশেই ফেলে দিয়ে আসে রেণু। রবিবার সকালে পুলিশ গিয়ে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। বস্তার মধ্যেই উদ্ধার হয় জামাকাপড়। সন্দেহবশত রেণুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তাতেই খুনের কথা স্বীকার করে বলে দাবি করেছেন লুধিয়ানার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রাজবীর সিংহ বোপারাই।

জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, রেণু ভাইয়ের প্রতি তিতিবিরক্ত ছিল। রেণু স্বীকার করেছে, যেখানেই যেত, ভাই পিছন পিছন যেত। পুলিশ জানতে পেরেছে, পাড়ারই এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক ছিল। এক দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ওই শিশু দেখে ফেলে। বাড়িতে তাঁর নামও বলে দিয়েছিল। তারপ র থেকেই রেণু ভাইকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ওই যুবকও খুনের সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।