স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলেন স্ত্রী, তারপর…


 ক্যানিং: এক গৃহবধূকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে৷ মৃতের নাম সামিনা সর্দার (২২)৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার আড়াই বাকি গ্রামে৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় এক বছর আগে ক্যানিং থানার তালদির বকুলতলা গ্রামের বাসিন্দা সামিনা সর্দারের সঙ্গে বিয়ে হয় রহমান সর্দারের৷ অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের টাকার দাবিতে সামিনার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা৷

পাশাপাশি স্থানীয়দের দাবি, রহমানের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল৷ আর সেই সম্পর্ক জানতে পেরেই তার প্রতিবাদ করে স্ত্রী সামিনা৷ আর এই দুই কারণের জেরেই ওই গৃহবধূকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার বাপের বাড়ির সদস্যদের৷

শুক্রবার প্রতিবেশীরা গৃহবধূর বাপের বাড়িতে খবর দিলে পরিবারের লোকজন এসে শ্বশুরবাড়ি থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে সামিনাকে৷ অভিযোগ, সামিনার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়৷ আর সেই দাগ দেখেই তার বাপের বাড়ির সদস্যরা অভিযোগ করেন পিটিয়ে খুন করা হয়েছে সামিনাকে৷ এরপরেই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় জীবনতলা থানায়৷

পরে জীবনতলা থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি নিয়ে যায়৷ এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সামিনার স্বামী রহমান সর্দার সহ শ্বশুরবাড়ির আরও ছয় জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জীবনতলা থানার পুলিশ৷

অভিযোগের ভিত্তিতে রহমান সর্দার ও তার বাবা তোয়েব সর্দারকে আটক করেছে জীবনতলা থানার পুলিশ৷ তবে ঘটনার পর থেকেই বাকি অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানা গিয়েছে৷