পেটিএম মালিককে ২০ কোটি টাকা চেয়ে ব্ল্যাকমেল, গ্রেফতার এই প্রাক্তন সেক্রেটারি

সনিয়া ধওয়ন।

পেটিএম প্রতিষ্ঠাতা বিজয়শেখর শর্মার সঙ্গে প্রায় দশ বছর কাজ করেছিলেন সনিয়া ধওয়ন। এই দশ বছরেই নাটকীয় উত্থান হয় এই কোম্পানির। আর এই পুরো সময়টাতেই পেটিএম প্রতিষ্ঠাতা বিজয়শেখর শর্মার সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছিলেন সনিয়া। সরকারি ভাবে হয়ে উঠেছিলেন এই ই-ওয়ালেট কোম্পানির কমিউনিকেশন হেড। বিজয়শেখর শর্মার ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন আর অফিস কম্পিউটারের পাসওয়ার্ডও ছিল তার কাছে। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল ষড়যন্ত্রের ছক। পেটিএম কোম্পানির নাটকীয় সাফল্য চাক্ষুষ করার সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত তথ্য জোগাড় করে নিজের কাছে আলাদা ভাবে জমিয়ে রাখতে শুরু করেছিলেন সনিয়া। বিজয়শেখর শর্মার অভিযোগের ভিত্তিতে নয়ডা পুলিশের তদন্তে সামনে এল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গী হিসেবে নিজের স্বামী রূপক জৈন আর প্রাক্তন সহকর্মী দেবেন্দ্র কুমারকে বেছে নেয় সে। এর পরই শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং। ২০ কোটি টাকা চাওয়া হয় পেটিএম কোম্পানির কাছে। টাকা না দিলে তথ্য ফাঁস করে কোম্পানির বিপুল আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি পেটিএম কোম্পানির ভাবমূর্তিও নষ্ট করে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেয় তারা।

যদিও নিজে হুমকি ফোন করেনি সনিয়া। এই জন্য সে বেছে নিয়েছিল কলকাতার বাসিন্দা রোহিত চোমালকে। বিজয়শেখর শর্মার দাদা অজয়শেখর শর্মা এই মুহূর্তে কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাঁকেই ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ব্ল্যাকমেলের ফোনটি করে রোহিত।

এর পরই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয় পেটিএম কোম্পানির তরফে। সেখানে বলা হয় এক মহিলা, তার সহযোগী এবং কোম্পানির কিছু কর্মী ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছে। এর পরই আসরে নামে পুলিশ। সনিয়া-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে নয়ডা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইন-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও ঠিক কী ধরনের তথ্য হাতিয়েছে সনিয়া ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা, তা কতটা ক্ষতি করছে কোম্পানির, তা অন্য কারও কাছে রাখা আছে কি না, সে নিয়ে নিশ্চিত ভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে বিজয়শেখর জানিয়েছেন, গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিত রয়েছে।