‘চকোলেট ছেড়ে ফুচকা খান!’, টাকার দর পড়া রুখতে উপায় মোদীর উপদেষ্টার

টাকার দাম রুখতে উপায় বার করলেন রথীন রায়।

চকোলেট ছেড়ে ফুচকা খান। 

ভাবনাটি এল প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রথীন রায়ের কাছ থেকে। আর লুফে নিলেন আরএসএসের স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের জাতীয় সহ-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন। 

রাইসিনা পাহাড়ের এক দিকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আর তার উল্টো দিকে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। আর এই নর্থ ব্লক, সাউথ ব্লক থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে রথীন-অশ্বিনী দু'ঘণ্টা ধরে আলোচনা করে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছেন, যে চিন্তা করা উচিত খোদ প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রীর। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম যে ভাবে হু-হু করে পড়ছে, তা আটকানোর পথ কী? 

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা রথীন। কিন্তু তিনি খোলাখুলিই বলছেন, তাঁর কাজ শুধুই 'উপদেশ' দেওয়া। শোনা না শোনা, সরকারের কাজ। বড় বড় ঘোষণা হয়, অমুক হবে, তমুক হবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। 'মেক ইন ইন্ডিয়া'ও ব্যর্থ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও নিজেদের মধ্যে কথা বলে না। সমন্বয় বলে কিছু নেই। 

আরএসএসের স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের নেতাও ঠিক একই কথা বলছেন। অগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত টাকার দাম পড়েছে ৮ শতাংশ। গোটা বছরে ২০ শতাংশের বেশি। নীতি নির্মাতারা শুধু ভাবনা-চিন্তাই করছেন। তার পরেও অনেকে এখনও বলে চলেছেন, টাকার দাম নাকি আরও পড়া উচিত। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান, প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টাও সেই কথা বলে চলেছেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক হস্তক্ষেপে রাজি নয়। সরকারিতন্ত্রে কোনও সমন্বয় নেই। তা হলে উপায়?

রথীনের মতে, ''সমাধানের তো একটাই পথ। ৩০০ শতাংশ রফতানি বাড়িয়ে ততটাই আমদানি কমানো। কিন্তু সেটা তো বাস্তবে করা যায় না। তাই সহজ কথায় বলা যায়— চকোলেট ছেড়ে ফুচকা খেতে হবে। কারণ, ফুচকা আগাগোড়া স্বদেশি। ময়দা, আলু, তেঁতুল তার উপাদান। আর চকোলেট যে-ই বানাক, তা বানাতে কোকো আনতে হবে ঘানা থেকে।'' অশ্বিনী মহাজন বাহবা দিয়ে বলেন, ''এটাই তো আমাদের স্বদেশি পথ। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাও আমাদের কথাটাই বলছেন। কিন্তু সরকারিতন্ত্রে যাঁদের এ কথা ভাবা উচিত, তাঁরা কী আমল দিচ্ছেন?''