৪ নভেম্বরের পর থেকে আরও দামি হবে পেট্রল-ডিজেল


নয়াদিল্লিঃ  শুধু ভারতই নয়। গোটা বিশ্বের নজর একদিকে। আগামী মাস অর্থাৎ নভেম্বরের ৪ তারিখের দিকে। আগামী ৪ নভেম্বরের পর ইরান থেকে তেল আমদানি অথবা তেহরানের সঙ্গে কোনওরকম অশোধিত তেলের বাণিজ্যে যেসব রাষ্ট্র যুক্ত থাকবে, তাদের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে। এমনটাই হুঁশিয়ারি ট্রাম্প প্রশাসনের।

ইতিমধ্যে ইরান থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারত। সেখানে দাঁড়িয়ে ভারতের উপর চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে দেশে পেট্রপণ্যের দাম সব রেকর্ড ভেঙে আকাশ স্পর্শ করেছে এবং লাগাতার দাম বেড়েই চলেছে। আবার অন্যদিকে ডলারের বিনিময়ে টাকার দাম সর্বকালীন কম। এই দুয়ের ধাক্কায় ভারতের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থনীতি চরম বেসামাল। এমতাবস্থায় আগামী ৪ নভেম্বরের পর ইরান থেকে তেল আমদানিতে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা সমাপ্ত হওয়ায় নতুন করে পেট্রপণ্যের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা।

যদিও ভারতের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে নাকি আমেরিকাকে ক্ষুব্ধ করেই তেহরানকে তেল কিনবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। ইতিমধ্যে তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন খোড প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই বৈঠকে প্রতিটি তেল সংস্থার চেয়ারম্যান তো বটেই, প্রাকৃতিক গ্যাস ও তৈল উত্তোলনকারী বেসরকারি সংস্থা ও বিদেশি তৈল সংস্থাগুলির কর্তা ও মন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন ভারতের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল উত্তোলনের সম্ভাবনা এখন কোন পর্যায়ে এবং কতটা বাড়ানো সম্ভব।

বৈঠকে ওএনজিসি, ইণ্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রলিয়াম, অয়েল ইন্ডিয়া, ভারত পেট্রলিয়াম কর্তাদের পাশাপাশি ছিল অর্গানাইজেশেন অব দ্য পেট্রলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক), সৌদি আরবের পেট্রলিয়াম মন্ত্রক, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, বেদান্ত গোষ্ঠী। ছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। জানা গিয়েছে, তেলের দাম কমানোর বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এই বৈঠকে।