যৌন হেনস্থার অভিযোগে গুগল থেকে গেট আউট ৪৮


সান ফ্রান্সিসকো : MeToo নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব তোলপাড়, একের পর এক ফাঁস হচ্ছে লাইমলাইটের নিচে থাকা তাবড় তাবড় ব্যক্তিদের কেচ্ছা। তখন গুগল জানাল, তারা গত দু'বছরে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ৪৮ জন কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। শুধু তাই নয়, এদের মধ্যে ১৩ জন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীও রয়েছেন। ছাড় পাননি অ্যান্ডি রুবিনও, যিনি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম তৈরির মূল কারিগরদের মধ্যে অন্যতম।

সুদূর অ্যামেরিকা থেকে MeToo-র ঢেউ এসে ঠেকেছে উপমহাদেশের উপকূলে। যৌন হেনস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন ফিল্মস্টার থেকে সমাজসেবী, বাদ যাননি রাজনৈতিক নেতানেত্রীরাও। এরকম একটা অবস্থায় গুগলের CEO সুন্দর পিচাই একটি অফিশিয়াল বিবৃতিতে জানান, গত দু'বছরে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সংস্থার ৪৮ জন কর্মীকে তাঁরা বহিষ্কার করেছেন। 

সম্প্রতি, নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে অ্যান্ডি রুবিনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, তাঁকে কম্পানি থেকে বহিষ্কার করেছে গুগল। কিন্তু, অন্য একাধিক ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ উঠলেও গুগল ব্যবস্থা নেয়নি। শুধু তাই নয়, অ্যান্ডি রুবিনকে বহিষ্কার করলেও "এগজ়িট প্যাকেজ" বা "ক্ষতিপূরণ" হিসেবে তাঁকে ৯ কোটি ডলার দিয়েছে গুগল।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে, গুগলের CEO সুন্দর পিচাই তাঁর অফিশিয়াল বিবৃতি জানিয়েছেন, কম্পানির যৌন হেনস্থার প্রতিটি অভিযোগই যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। অভিযোগ, ধামাচাপা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তাছাড়া এধরনের গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হলে, কাউকে বহিষ্কার করার সময় এগজ়িট প্যাকেজ বা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না। জনমানসের কাছে সংস্থার ভাবমূর্তি ধরে রাখতে সম্প্রতি আমরা এধরনের বিষয়গুলিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কর্মস্থানে কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।" 

কর্মীদের উদ্দেশ্যে পাঠানো মেলে পিচাই লিখেছেন, "আমরা আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি প্রতিটা যৌন হেনস্থার অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখব। তদন্তও হবে।" 

নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই খবরে দাবি করা হয়েছে, এর আগেও ২০১৩ সালে গুগলের তৎকালীন চিফ এগজ়িকিউটিভ ল্যারি পেজের জমানায় রুবিনের বিরুদ্ধে এক মহিলা সহকর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল।