কেন পড়ছে টাকার দাম! আপনার সংসারে কোথায় ধাক্কা লাগছে জানেন কি


টাকার দাম ৭৪ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এত নিচে এর আগে কোনওদিনও নামেনি ডলার প্রতি টাকার দাম। বাজারের অবশ্য অত্যন্ত সঙ্গীন। ধপাধপ পড়েছে সেনসেক্স ও নিফটি। বাজার থেকে উড়ে গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তেলের দাম। ৯০ এর ঘর ছাড়িয়ে তা লিটারে একশো টাকার দিকে পাল্লা দিয়ে দৌড়চ্ছে। কিন্তু কেন এই অবস্থা? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দেখে নেওয়া যাক একনজরে।


কেন পড়ছে টাকার দাম
কেন টাকার দাম পড়ছে তার অনেকগুলি ফ্যাক্টর রয়েছে। তবে তার মধ্য সবচেয়ে বড় কারণের অন্যতম হল অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি দামঅনেক বেড়ে গিয়েছে। গত চার বছরে ব্যারেল প্রতি দাম বেড়ে ৮৫ ডলার ছাড়িয়েছে। একসময়ে তা ৪০ ডলার প্রতি ব্যারেল ছিল। ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা তেলের উৎপাদন বাড়াবে না। তার মধ্যে ভারত ৮১ শতাংশ তেল আমদানি করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পর তা তৃতীয় সর্বোচ্চ।
   

দুর্বল হচ্ছে টাকা
যেহেতু অপরিশোধিত তেলের দাম ডলারে চোকাতে হয়, ফলে দাম বাড়লে টাকার দাম ডলারে পরিবর্তিত করে দাম চোকাতে হয়। যার ফলে ডলার তথা মার্কিন কারেন্সি শক্তিশালী হচ্ছে। অন্য দেশের মুদ্রার দাম কমছে। ডলারের চাহিদা উর্ধ্বমুখী হলে স্বাভাবিকভাবেই তাই টাকার দাম কমছে। এসবের মধ্যেই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম একশো ডলার ছাড়াবে।

   

কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি বেড়েছে
তেলের দাম ছাড়াও যে কারণে টাকার দাম কমেছে তার অন্যতম হল কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। যার অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় আমদানির পুরো অর্থ চোকাতে হচ্ছে। যাও টাকার দাম কমার অন্যতম কারণ।
   

বাজারের প্রভাব
গত কয়েকমাসে বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে নিয়েছে। যার ফলে টাকার দামে নতুন করে আঘাত লেগেছে। ডলারের সাপেক্ষে আরও দাম কমে গিয়েছে।
চিকিৎসকরাও অবাক! এই জিনিসটিতে ৪ সপ্তাহে ঝরল ২৩ কিলো ওজন!
চিকিৎসকরাও অবাক! এই জিনিসটিতে ৪ সপ্তাহে ঝরল ২৩ কিলো ওজন!
চিকিৎসকরাও অবাক! এই জিনিসটিতে ৪ সপ্তাহে ঝরল ২৩ কিলো ওজন!



তেলের দামও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে
টাকার দাম কমার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে তেলের দাম বেড়ে চলেছে। মুম্বইয়ের মতো শহরে তা লিটারে ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। জ্বালানির দাম বাড়ায় অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। টাকার দাম বাড়ায় আরবিআই এবার সুদের হার বাড়াবে। ফলে ইএমআই-এ বেশি টাকা চোকাতে হবে।