পুজো বন্ধ, বিচার চাইছে দাড়িভিট


রায়গঞ্জ : পুজো এলে যারা ক্যাপ-বন্দুক নিয়ে গ্রামের রাস্তায় খেলে বেড়াত তারাই কয়েকদিন আগে দেখেছে আসল বন্দুক। ক্যাপের ফটাফট শব্দ নয়, শুনেছে আসল গুলির আওয়াজ। দুই যুবকের রক্তে ভিজেছে গ্রামের মাটি। পুজোর আনন্দ নয়, গ্রামবাসীর চোখেমুখে এখন আতঙ্কের ছাপ। বোধনের আগেই যেন দশমী হয়ে গেছে গ্রামে। তাই এবার বন্ধ পুজো। তার পরিবর্তে আন্দোলন জোরদার করতে তৈরি হচ্ছে দাড়িভিট।

২০ সেপ্টেম্বর। উত্তেজনা ছড়ায় দারিভিট স্কুলে। পড়ুয়াদের আন্দোলন থামাতে নামে পুলিশ। করা হয় লাঠিচার্জ। ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের সেল। চলে গুলিও। অকালে ঝরে পড়ে দুটি প্রাণ। মৃত্যু হয় গ্রামেরই ছেলে রাজেশ ও তাপসের। অনেকেই জখম হন। এখানেই শেষ নয়। পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়ি বাড়ি ঢুকে অত্যাচারের অভিযোগও ওঠে। 
এরপরই দু'জনের মৃত্যুতে CBI তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন গ্রামের বাসিন্দারা। নাওয়াখাওয়া ভুলে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান তাঁরা। তাই দাড়িভিটের বাতাসে লাগেনি পুজোর গন্ধ। গ্রামের দুর্গামণ্ডপে নেই পুজোর তোড়জোড়। নেই ব্যস্ততা। কারণ পুজোর আয়োজনে নয়, গ্রামের মানুষ এখন ব্যস্ত আন্দোলন জোরদার করতে।

মৃতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন করে এবার পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের একটাই বক্তব্য, চাই CBI তদন্ত। চাই বিচার।