জঙ্গি হামলার ছক সমুদ্রপথে, জারি সতর্কতা


চলতি বছরের জুন মাস থেকে সমুদ্রপথে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর–ই–তৈবা। জয়েশ–ই–মহম্মদ নামে অপর একটি জঙ্গি সংগঠনও যুবকদের গভীর সমুদ্রে আক্রমণ চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এই উৎসবের মরশুমে তারা আক্রমণ করতে পারে ভারতের কোনও মালবাহী জাহাজ, তেলের ট্যাঙ্কার অথবা বন্দরে। সেজন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীদের।

ভারতের উপকূল ৭ হাজার ৫১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই বিশাল অঞ্চলের কোনও জায়গা দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ার পরিকল্পনা করছে লস্কর জঙ্গিরা। এই প্রস্তুতির কথা প্রথম জানা যায় জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে গ্রেপ্তার করার পর। ২০১০ সালে এনআইএ'‌র জেরার মুখে সে জানায়, ইয়াকুব নামে এক ব্যক্তি লস্করের নৌ–শাখার দায়িত্বে আছে। তখনই বোঝা যায় জঙ্গিরা জলপথেও আক্রমণের চেষ্টা করছে।

গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, লস্করের কয়েকটি শাখা সংগঠন যথা ফালা–ই–ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন, আল দাওয়া ওয়াটার রেসকিউ, লাইফ লাইন ওয়াটার রেসকিউ এবং রেসকিউ মিল্লি ফাউন্ডেশন ইতিমধ্যে অনেক জঙ্গিকে সমুদ্রের গভীরে আক্রমণের কৌশল শিখিয়েছে। শেখপুরা, ফয়সলাবাদ এবং লাহোরের বিভিন্ন সুইমিং পুল ও খালে এই প্রশিক্ষণ হয়েছে। জয়েশ জঙ্গিরা বাহাওয়ালপুরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে কীভাবে জলপথে গোপনে ভারতে ঢুকে পড়া যায়।

গোয়েন্দাদের ধারণা, লস্কর জঙ্গিরা মাঝ সমুদ্রে মালবাহী জাহাজ ছিনতাই করে ভারতের কোনও বন্দরে হামলা চালানোর চেষ্টায় আছে। ২৬/‌১১ হামলার সময়ও পাকিস্তান প্রশিক্ষণ দিয়েছিল জঙ্গিদের। এবার তারা সমুদ্র জেহাদ নাম দিয়ে হামলা চালাতে পারে বলে খবর।