চতুর্থীতেই জনজোয়ার, সপ্তাহান্তে শহরের রাস্তায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে নামল মানুষের ঢল


বাঙালির পুজোর শপিং এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি, কিন্তু প্যান্ডেল হপিং শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। এখনও ভিড় সামাল দিতে সেভাবে পুলিশ নামেনি রাস্তায়, পুজো কমিটিগুলিও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। কিন্তু তাতে কি? উৎসব মুখর বাঙালির মনে পুজোর দামামা বেজে গিয়েছে।

শনিবার টিপ-টিপ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে রাজধানীর রাজপথে নামল মানুষের ঢল। লক্ষ্য একটাই, পুজোর কটা দিন আনন্দ লুফে নেওয়া ও একইসঙ্গে উওর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, গোটা কলকাতার সব কটি পুজো মণ্ডপে পৌছনো।

কিন্তু এবছর তিতলির তাণ্ডবে আকাশের মুখ ভার। গত দুদিন ধরে হয়ে চলেছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। তার দোসর বিক্ষিপ্ত যানজট। তাই অনেকটা রাস্তা পায়ে হেঁটেই পুজো দেখা শুরু করে দিয়েছে আমজনতা।

শুক্রবার তৃতীয়া থেকেই শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্তে মানুষের ভিড় প্রমাণ করেছে উৎসব মুখর বাঙালিকে। চেতলা অগ্রণী, ত্রিধারা, বাগবাজার, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মতো বিগ বিগ পুজোগুলোয় দর্শনার্থীদের ঢল ছিল ভরা পুজোর দিনেরই মতোই। এখনও বহু মণ্ডপ তৈরির কাজ শেষ হয়নি। কিন্তু তাতে কি? দর্শনার্থীদের আগ্রহ ধরে রাখে কে?

এত ভিড় দেখে অবাক অনেক পুজো কমিটিই। তাদের বক্তব্য অন্যান্য বার তৃতীয়া, চতুর্থী থেকে দর্শনার্থীরা হাজির হন ঠিকই কিন্তু এত লোক আসতে শুরু করেন না।

দর্শনার্থীদের কারও দাবি, এতগুলো ঠাকুর দেখতে হবে তো। পরে যদি দেখতে না পারি! তাই আগে থেকেই বেরোলাম। অনেকেই আবার পরিবার নিয়ে পাড়ি দেবেন ভিন রাজ্যে বা ভিন দেশে পর্যটনে। তাই ষষ্ঠীর বোধনের আগেই ঠাকুর দেখা শেষ করে ফেলছেন।