ভেজাল কসমেটিক্স! নোটিশ পেল অ্যামাজন-সহ একাধিক সংস্থা


'ভুয়ো, ভেজাল ও অস্বীকৃত' প্রসাধন সামগ্রী বিক্রির কারণে অ্যামাজন-সহ একাধিক ই-কমার্স ওয়েবসাইটকে নোটিশ পাঠাল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI)। এর জেরে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। 

গত ৫-৬ অক্টোবর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ই-কমার্স বিক্রেতাদের গুদাম ও দোকানে হানা দিয়ে বৈধ লাইসেন্স ছাড়া বেশ কিছু ভুয়ো প্রসাধন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেন ড্রাগ ইন্সপেক্টররা। এই সমস্ত আমদানি করা পণ্যের প্রয়োজনীয় শংসাপত্রও পাওয়া যায়নি। আইন অনুযায়ী, ভুয়ো প্রসাধন সামগ্রী বিক্রির অপরাধে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অ্যামাজন ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংস্থার মুখপাত্র সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানান, অবৈধ ও ভুয়ো পণ্যের হদিশ পাওয়া গেলে নির্মাতা সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

তিনি জানিয়েছেন, 'অ্যামাজন ইন্ডিয়া একটি তৃতীয় পক্ষ বাজার, যেখানে বিক্রেতারা তাঁদের পণ্য বিক্রির জন্য তালিকা পেশ করেন। যে কোনও পণ্যের মানের বিষয়ে বিক্রেতারা দায়বদ্ধ থাকেন। ক্রেতাদের অভিজ্ঞতাকে বরাবর গুরুত্ব দেয় অ্যামাজন.ইন এবং অভিযোগ পেলে ভুয়ো বা অবৈধ পণ্য বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে কড়া পদক্ষেপ করা হয়।' 

পিটিআই-এর দাবি, ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া বিদেশি প্রসাধন সামগ্রীর বেশ কিছুর বৈধ কাগজপত্র নেই এবং ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS) প্রকাশিত 'নেগেটিভ লিস্ট'-এ অন্তর্ভুক্ত। 

সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে উত্তর দিতে হবে বলে জানিয়েছে DGCI এবং ভুয়ো, অবৈধ ও ভেজাল প্রসাধন সামগ্রী বিক্রি করার অপরাধে ১৯৪০ সালের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স আইন অনুযায়ী শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে বলেও সাবধান করা হয়েছে।