গুজরাতে আতঙ্কে গোপন আস্তানায় ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা

গুজরাতে ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য খোলা হয়েছে বিশেষ শিবির।

১৪ মাসের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগের জেরে বিক্ষোভ-অশান্তিতে আতঙ্কে দিন গুজরান করছেন গুজরাতে ভিনরাজ্যের বাসিন্দারা। গত বেশ কয়েকদিন ধরে মোদী রাজ্যের পাঁচ জেলায় ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ভয়ে-আতঙ্কে বহু ভিনরাজ্যের বাসিন্দাই গুজরাত ছেড়েছেন। এবার সেই আতঙ্কের পরিবেশে ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের সুরক্ষা দিতে আহমেদাবাদে গোপন আস্তানা খোলা হল। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহারের বাসিন্দাদের অনেকেই এই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সবরকাঁথা জেলায় ১৪ মাসের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে বিহারের বাসিন্দা তথা গুজরাতের একটি কারখানার কর্মী রবীন্দ্র সাহুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবীন্দ্রের গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্য।

উত্তর ভারতীয় বিকাশ পরিষদ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ক্যাম্প খোলা হয়েছে। যেখানে বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের শ্রমিকরা আশ্রয় নিয়েছেন। ওই শ্রমিকরা গুজরাতের বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন। এ প্রসঙ্গে ওই সংস্থার প্রধান শ্যাম সিং ঠাকুর বলেন,''যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, ততদিনের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোথায় এই ক্যাম্প, তা আমরা সুরক্ষার স্বার্থে জানাব না।'' ক্যাম্প গড়ার আগে অবশ্য বিভিন্ন এলাকায় রেকি করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে শ্যাম সিং ঠাকুর আরও বলেন যে, কোথায় কোথায় গোপন আস্তানা খোলা হবে, তার জন্য বিভিন্ন এলাকায় আমরা রেকি করেছিলাম।

গুজরাতে কর্মরত উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ভোলা প্রজাপতি বলেন, "বুঝতে পারছি না, কেন ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের টার্গেট করা হচ্ছে। ওঁরা তো নির্দোষ। যে দোষ করেছে, তাকে কঠোর সাজা দেওয়া হোক। যদি কোনও গুজরাতি অপরাধ করে থাকেন, তবে কি তাঁরা গুজরাতিদেরও রাজ্য ছাড়া করবেন?" গুজরাতে কর্মরত ভিনরাজ্যের আরেক বাসিন্দা পিন্টু প্রজাপতি বললেন, "বাড়ির লোকেরা খুব উদ্বিগ্ন। বাড়ি ফিরে যেতে বলছে।" ইতিমধ্যেই বহু ভিনরাজ্যের কর্মী গুজরাত ছেড়েছেন।

অন্যদিকে, ধর্ষণে অভিযুক্ত বিহারের ওই কর্মীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছে ক্ষত্রিয় ঠাকুর সমাজ। এ নিয়ে এলাকায় ব্যানারও টাঙানো হয়েছে।