চুরি করতে দেখে ফেলায় মহিলাকে গণর্ধষণ, মাথায় লোহার রডের আঘাত


 'অপরাধ' চুরি করতে দেখে ফেলেছিলেন৷ 'শাস্তিস্বরূপ' গণধর্ষণের শিকার হলেন মহিলা। এমন ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বারাসতে।

এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল৷ পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই ওই মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারাসত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে বলে খবর৷ ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিকের৷ যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি৷ গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলরও৷ তবে ঘটনাকে ঘিরে জেলা সদর বারাসতের আইনশৃঙ্খলা আবারও প্রশ্নের মুখে৷

বারাসত ভদ্রবাড়ির গিরিশ ঘোষ রোডে বাড়ি নির্যাতিতার৷ পরিবার সূত্রে খবর, ভোরবেলায় ফুল তোলার নেশা ওই মহিলার৷ মঙ্গলবার কাকভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফুল তুলতে যান তিনি৷ কিছুটা পথ যেতেই দেশপ্রিয় রোডের কাছে তিনি দেখেন, একটি নির্মীয়মান বাড়ি থেকে লোহার রড চুরি করছে পাঁচ দুষ্কৃতী৷ তাদের চিনে ফেলেন মহিলা এবং হুমকি দেন, চুরির ঘটনা সকলকে জানিয়ে দেবেন৷ নিজেদের বাঁচাতে পাশের একটি বাগানে মহিলাকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা৷ অভিযোগ, এরপর তাঁকে গণধর্ষণ করে তাঁর মাথায় লোহার রড দিয়ে মেরে খুনের চেষ্টা করা হয়৷ পরে বিবস্ত্র অবস্থায় নির্যাতিতাকে ফেলে চম্পট দেয় তারা৷ বেশ কিছুক্ষণ পরে স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মহিলার পরিবার৷ পুলিশ এসে মহিলাকে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়৷

হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে৷ আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে৷ যদিও পুলিশ এবিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চায়নি৷ নির্যাতিতার দিদি রীতা অভিযুক্ত পাঁচজনের নাম পুলিশকে জানিয়েছেন বলে খবর৷ তাঁর আরও অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিক বাড়িতে লোকজন পাঠিয়ে বিষয়টি চাপা দেওয়ার কথা বলেন৷ অভিযোগ না করার জন্যও চাপ দেওয়া হয়৷ ফলে ভয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে পারেনি পরিবার৷ যদিও সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলার৷