জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়ায় ভারতীয় সেনা ও জঙ্গিদের গুলির লড়াই।

ফের আতঙ্কের আবহ কাশ্মীরে।

 বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়ায় ভারতীয় সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে দুই থেকে তিনজন জঙ্গিকে ধরতে পেরেছে ভারতীয় সেনা।

উপত্যকায়  জঙ্গি বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযান চালাচ্ছে কাশ্মীর পুলিশ ও ভারতীয় সেনা। দুইয়ের যৌথ অভিযানে ইতিমধ্যেই নিকেশ কয়েকজন জঙ্গি। বাড়ি বাড়ি ঢুকে চলছে চিরুনি তল্লাশি৷ যেখান থেকে খবর আসছে, সেখানেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পৌঁছে যাচ্ছেন জওয়ানরা। এবারও তেমনই একটি খবর এসেছিল তাঁদের কাছে। গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল, রাজ্যের কুপওয়াড়ায় ঘাঁটি গেড়েছে জঙ্গিরা। সেই মতো তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। তল্লাশির সময়ই সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা গুলি চালান জওয়ানরাও। ঘটনায় এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে একাধিক সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেপ্তার করেছে সেনা। সূত্রের খবর, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলার মান্নান ওয়ানিও আছেন। কিছুদিন আগেই তিনি জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন।

ঘটনায় কাশ্মীরের সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তল্লাশি অভিযানে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই কাশ্মীরের কোনও কোনও জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে।

ভারতে সন্ত্রাসবাদীরা যে ঘাঁটি শক্ত করতে চাইছে, সেই খবর আগেই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। লিপা উপত্যকায়, পাক জঙ্গিদের যে লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করেছিল ভারতীয় সেনা, সেখানেই আবারও গজিয়ে উঠেছে নয়া লঞ্চপ্যাড৷ পাশাপাশি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ফরোয়ার্ড কাহুতায় ঘাঁটি গেড়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গিরা। এরা প্রত্যেকে আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সূত্রের খবর৷ এদের উদ্দেশ্য, দক্ষিণ কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় সেনার ক্ষয়ক্ষতি করা। আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরের দোহা জেলার কাস্তিগড় থেকে দু'টি এ কে ৪৭, ৩৫৫ রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া একটি UBGL (আন্ডারব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার), ৪টি চিনা গ্রেনেড পাওয়া যায়।