লেজার বিজ্ঞানে যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য নোবেল পাচ্ছেন তিন পদার্থবিদ


মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আর্থার আস্কিন, ফরাসী পদার্থবিদ জিরার্ড ম্যুরো এবং কানাডার ডনা স্ট্রিকল্যান্ড, পৃথিবীর তিন প্রান্তের তিন দিকপাল বিজ্ঞানীকে এক সুতোয় বাঁধল একটি সম্মান। তার নাম নোবেল ২০১৮।

লেজার পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে এ পুরস্কার পেলেন তারা। মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল পদার্থ বিজ্ঞানে ২০১৮-এর তিন নোবেলজয়ীর নাম। ডঃ আস্কিন অপটিক্যাল টুইজ্যার নামে এমন এক লেজার প্রযুক্তির আবিষ্কার করেছেন যা জীবজগত পর্যবেক্ষণে খুবই জরুরি। বাকি দুই পদার্থবিদ কাজ করেছেন উচ্চ তীব্রতার এবং ছোট দৈর্ঘ্যের লেজার পালস নিয়ে। চোখে লেজার অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে এই আবিষ্কারও নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

১৯০১ সালের পর থেকে নোবেল কমিটি এ পর্যন্ত ১১২ বার পদার্থে নোবেল পুরস্কার দিয়েছে। ডনা  ডনা স্ট্রিকল্যান্ড হলেন নোবেল সম্মানে সম্মানিত তৃতীয় মহিলা পদার্থবিদ। প্রথমজন হলেন মাদাম মারি কুরি (১৯০৩ সাল), দ্বিতীয়জন গোয়েপ্পার্ট মেয়ার (১৯৬৩)।

২০১৭ সালে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ অনুসন্ধানের স্বীকৃতিস্বরূপ পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পান জার্মান বংশোদ্ভূত রেইনার ওয়েইস ও মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ব্যারি সি ব্যারিশ ও কিপ এস থোর্নে ।
ইতিমধ্যে সোমবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এবার পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী জেমস পি. অ্যালিসন ও জাপানের তাসুকু হনজোর। ক্যানসারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য এই দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী পেতে চলেছেন এই সম্মান।

নোবেলের পুরস্কার মূল্য হিসেবে ৮০ লক্ষ সুইডিশ ক্রোনার তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

বিতর্ক দানা বাঁধার কারণে এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। ২০১৯ সালে সাহিত্যে দুটি পুরস্কার দেওয়া হবে। একটি ২০১৮ সালের জন্য অপরটি ২০১৯ সালের। সুইডিশ অ্যাকাডেমির সদস্যদের যৌন কেলেঙ্কারি  ও অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।