ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রেখে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা মোদীর


গত চার বছরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সাফল্যের তালিকায় যেসব কাজ সবার আগে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, সাধারণের নাগালে স্বাস্থ্য পরিষেবা। এব্যাপারে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মোদী সরকার বারবারই বলেছে, সামর্থ্যের মধ্যে, গুণমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা সবার জন্য।
   

নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ওষুধের মূল্য
দেশের ওষুধের দাম নির্ধারক এনপিপিএ ৯২ টি ওযুধের যৌগের মূল্য বেধে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ক্যানসার, হেপাটাইটিস সি, মাইগ্রেন এবং ডায়াবিটিসের ওষুধ।

ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) জানিয়েছে, ৭২ টি ওষুধের যৌগের দাম বেধে দেওয়া হয়েছে। ৯টি মূল্য নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। উপরন্তু, অথরিটি ১১ টি ওষুধের পাইকারি মূল্যও নতুন করে নির্ধারণ করেছে।
 
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এনপিপিএ ৯২ টি ওষুধের মূল্য নির্দিষ্ট/পরিবর্তন করে দিয়েছে।

যেসব ওযুধ এই নির্দেশিকার আওতায় পড়েনি, সেইসব ওষুধ প্রস্তুতকারকদের পাইকারি ওষুধের মূল্য বাৎসরিক সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে বাড়ানো কথাও বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়।
   
জনৌষধি পরিযোজনা
প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধি পরিযোজনার অধীনে ৩৩ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৩ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত ৩২১৪ টি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই সব কেন্দ্রগুলিতে মূল্য সাশ্রয়ী গুণমানের জেনেরিক ওষুধ রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, কেরল, মহারাষ্ট্র-সহ রাজ্যগুলিতে এই কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

এই পরিযোজনার অধীনে ৭০০-র বেশি ওষুধ, ১৫৪ টি সার্জিক্যাল জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। ওষুধের মধ্যে রয়েছে, অ্যানালজেসিক, অ্যান্টিপাইরেটিক, অ্যান্টিঅ্যালার্জিক, অ্যান্টি-ইনফেকটিভ, অ্যান্টি ডায়াবেটিক, কার্ডিওভাসকুলার, অ্যান্টি ক্যানসার, গ্যাস্ট্রোইস্টেস্টিনাল, ডাইইউরেটিক ওষুধ রয়েছে। ৬৬৬ টি ওষুধ এবং ৮১ টি সার্জিক্যাল জিনিসপত্র প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধি পরিযোজনার অধীনে পাওয়া যাচ্ছে।

ডিরেগুলেটিং স্টেন্ট
২০১৭-র ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্দেশিকার মাধ্যমে কেন্দ্র করোনারি স্টেন্টের দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বেয়ার মেটার স্টেন্ট ৭২৬০ টাকা, ড্রাগ ইলুউটিং স্টেন্ট ২৯,৬০০ টাকা। পরে এই মূল্যের কিছুটা পরিবর্তন করা হয়। যার জেরে বেয়ার মেটার স্টেন্ট ৭৪০০ টাকা, ড্রাগ ইলুউটিং স্টেন্ট ৩০,১৮০ টাকা করা হয়েছে। নির্দেশিকা জারির আগে পর্যন্ত দেশে বেয়ার মেটার স্টেন্টের এমআরপি ছিল ৪৫,১০০টাকা এবং ড্রাগ ইলুউটিং স্টেন্টের এমআরপি ছিল ১,২১,৪০০ টাকা। এর সুবিধা পেয়েছে সাধারণ মানুষ।

হাঁটু পরিবর্তন
হাঁটু পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও মূল্যে সুবিধা পেয়েছে দেশবাসী। সারা দেশে বছরে ১.৫ লক্ষ হাঁটু পরিবর্তন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে দেশবাসীর বছরে ১৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে সরকারি পর্যায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে।