রাজস্থানে জিকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৫, জারি হাই অ্যালার্ট


জয়পুর: জিকা ভাইরাসে কাবু রাজস্থান৷ ক্রমশ সেখানে থাবা বাড়াচ্ছে এই ভাইরাস৷ নতুন করে আরও অনেকের আক্রান্তের খবর মিলতে শুরু করেছে৷ পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগের৷ জারি হাই অ্যালার্ট৷ সব মিলিয়ে রাজস্থানে এখন জিকা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৫৷

এদিন জিকা ভাইরাস নিয়ে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যলোচনা করতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ডাক দেন স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্তি মুখ্য সচিব বেণুগোপাল৷ তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন গর্ভবতী মহিলা৷ তবে স্বস্তির খবর এই যে এখনও অবধি আক্রান্ত হওয়া ৩৮ জন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠছেন৷

রাজস্থানে এই ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ মশা৷ স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক তদন্তের পর উঠে এসেছে এই তথ্য৷ জনঘনবসতিপূর্ণ শাস্ত্রী নগর এলাকা থেকে কয়েকটি মশাকে নমুনা বাবদ সংগ্রহ করা হয়৷ কারণ এই বছর প্রথম ২২ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের যে জায়গা থেকে জিকা ভাইরাসের আক্রান্তের খবর মেলে সেটি হল শাস্ত্রী নগর৷ ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধা মহিলার শরীরে এই ভাইরাসে অস্তিত্ব মেলে৷ অথচ পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি শাস্ত্রী নগরের বাইরে কোথাও যাননি৷ তাহলে এই ভাইরাস তাঁর শরীরে প্রবেশ করল কী করে?

উত্তর খুঁজতে জানা যায়, ভাইরাসের বাহক মশা৷ কারণ ওই চত্বরের মশার শরীরে জিকা ভাইরাসে অস্তিত্ব মিলেছে৷ তারপরেই আরও বেশ কিছু জায়গা থেকে মশার নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ শুক্রবার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ম্যালেরিয়া রিসার্চ জয়পুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই নমুনা সংগ্রহ করে৷ তারপরই জিকা ভাইরাসে কবলিত এলাকাগুলিতে মশা নিধন অভিযানে আরও জোর দেওয়া হয়৷

ভারতে প্রবেশের আগে জিকা ৮৬টি দেশে হানা দিয়ে এসেছে৷ আর পাঁচটা ভাইরাসঘটিত রোগের মতো জিকা ভাইরাসের রোগের লক্ষণও একই৷ ভারতে প্রথম জিকা প্রবেশ করে ২০১৭ সালে৷ তখন আহমেদাবাদ থেকে খবর আসে জিকার ছড়িয়ে পড়ার৷ ওই বছর তামিলনাড়ুতে এই ভাইরাস হানা দেয়৷ দুটি জায়গাতেই কড়া নজরদারি চালিয়ে ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মাধ্যমে জিকাকে প্রতিহত করা হয়৷