এক রাতে দু'বার গণধর্ষণের শিকার যুবতী!


এক রাতের মধ্যে দু-দুবার গণধর্ষণের শিকার হল ২৪ বছর বয়সী এক যুবতী। পঞ্জাবের এই ভয়ংকর ঘটনাটি সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা এক রাতের মধ্যে দুটি অনুষ্ঠানে মোট ১০জনের যৌন লালসার শিকার হন। ১০ অক্টোবর, পঞ্জাবের কাপুরথালা জেলার লক্ষ্মণপুর খোলে ও দয়ালপুর গ্রামের দু-দুটি অনুষ্ঠানে গণধর্ষিতা হন ওই যুবতী। 

ঘটনায় ১০ অভিযুক্তের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক। 
থানার এক অফিসার সাতনাম সিং জানিয়েছেন, আমরা ১০ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা করেছি। তাদের মধ্যে ৪জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা গিয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। তাদের খোঁজ চলছে।

ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, পাঁচ মাস আগে, বাবু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। সে ড্রাগের নেশা করত। বেশ কয়েকবার তাঁকে জোর করে ড্রাগ সেবনও করিয়েছে ওই ব্যক্তি। এরপর ড্রাগ পাচারকারী সোনুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় সে। সোনুই নাকি তাঁর এলাকায় ড্রাগ পাচারকারী দলের মধ্যে মহিলাকে আনার জন্য জোড় করে। সোনুর বন্ধু সিরির একটি বাড়িতে ভাড়া দিয়ে থাকতেন ওই মহিলা। ১০ অক্টোবর, সিরির বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। তাঁর বহু বন্ধুবান্ধব নিমন্ত্রিত ছিল সেদিন। সেই অনুষ্ঠানের রাতে মহিলাকে পাশের একটি মাঠে তুলে নিয়ে গিয়ে সিরি ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। পুলিশ জানিয়েছে, সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করলেও কেউ শুনতে পাননি। কারণ, অভিযুক্তরা ইচ্ছে করেই মাইকের আওয়াজ তীব্র করে দিয়েছিলেন।এরপর ভয়ে পালিয়ে গিয়ে ওই মহিলা দয়ালপুর গ্রামের পরিচিত স্তাপাল সিংহের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। আক্রান্ত মহিলাকে ফের ধর্ষণ করে ওই পরিচিত ব্যক্তি ও তাঁর তিন বন্ধু। জানা গিয়েছে, সকলেই ওই এলাকার একটি কারখানার নিরাপত্তা কর্মীর কাজ করেন। সকালে ফের ভাড়া বাড়িতে চলে আসেন ধর্ষিতা মহিলা। সাহায্যের আশায় সিরির বৃদ্ধা ঠাকুমা ও কাকিমাকে সব কথা খুলে বলেন। কিন্তু তাঁর কথা শোনার পরেই বেধরক মারধর করে বাড়িতে থেকে তাড়িয়ে দেন তাঁরা। এরপরই সুভানপুর পুলিশ স্টেশনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী । স্থানীয় হাসপাতালে মেডিকাল পরীক্ষাতেও প্রমাণ হন, তিনি গণধর্ষিতা। আপাতত হাসপাতালেই তিনি চিকিত্‍সাধীন রয়েছেন।