পরকীয়ার সন্দেহ যায়নি ছেলেদের বিয়ের পরও, এক মর্মান্তিক পরিণতির নির্মম কাহিনি


ঘোর সন্দেহ বাতিক মন। সর্বদাই স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন স্বামী। মনে করতেন পরপুরুষের সঙ্গে বুঝি সম্পর্কে রয়েছে স্ত্রীর। আর এই সন্দেহের ফল হল মারাত্মক। পরিচারিকার কাজ করতেন স্ত্রী, কাজ থেকে ফিরতে দেরি হলেই সন্দেহ পরকীয়ার। তারই জেরে নৃশংসভাবে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী। কলকাতার উপকণ্ঠে চাঞ্চল্যকর ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে।

তিন ছেলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে বারুইপুরের পিয়ালি-ঘোলাঘাটার অমলকৃষ্ণ-সাধনা রায়ের। দারিদ্রের সংসার। অমল কাজ করতেন রাজমিস্ত্রির। আর সাধনা পরিচারিকার কাজ করতেন কলকাতায়। স্ত্রী কাজ থেকে দেরি করে ফিরলেই সন্দেহ বাসা বাঁধত অমলের মনে। প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হত। আবার ঠিক হয়ে যেত।

কিন্তু সোমবার রাতে যা ঘটল, তা আর ঠিক হওয়ার নয়। স্ত্রীর বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় একেবারে কুরুক্ষেত্র বাঁধালেন স্বামী। স্ত্রী নিশ্চয় অন্য কারও সঙ্গে সময় কাটিয়ে আসছেন, তা নিয়েই ঝগড়া পৌঁছল চরমে। ছেলে-বৌমারা তা মিটিয়ে দেওয়ার পর যে যার ঘরে চলে যান। তারপর যখন সব চুপচাপ হয়ে গিয়েছে। বেঘোরে ঘুমিয়ে পড়েছেন সবাই, ধারালো অস্ত্রের কোপে শেষ করে দিলেন স্ত্রীকে।

সকালে ঘুম ভাঙতেই ছেলে-বৌমারা দেখেন ঘর ভেজানো, মা ঘুমাচ্ছে, বাবা ঘরে নেই। মাকে ডাকতে যেতেই দেখেন বিছানা রক্তে ভিজে। হাতে কম্বল প্যাঁচানো। মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত। নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় বারুইপুর থানায়। বাবার বিরুদ্ধে মাকে খুনের অভিযোগ করেন ছেলেরা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত অমল।