বনগাঁয় মাঝরাতে ভয়াবহ ডাকাতি।


বনগাঁ: কিশোরের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতি। ডাকাতিরর ঘটনা ঘটল বাগদা থানার সিন্দ্রানি গ্রামে। সোনা ও নগদ মিলিয়ে প্রায় ছ'লক্ষ টাকার সামগ্রী লুট হয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

বাগদার সিন্দ্রানি গ্রামে মা, স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন অনিমেষ বিশ্বাস। কর্মসূত্রে কিছুদিন রাজ্যের বাইরে রয়েছেন অনিমেষবাবু। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ছিলেন জ্যোৎস্না বিশ্বাস। তাঁর মা প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়েছেন। জ্যোৎস্নাদেবীর বক্তব্য, "মাঝরাতে হঠাৎই আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে যায়। দেখি মশারির পাশে কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছেলের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আলমারির চাবি চায়। চাবি না দিলে ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ছেলেছে বাঁচাতে চাবি দিয়ে দিই। আলমারি খুলে নগদ টাকা, সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায় পাঁচ-ছ'জনের দুষ্কৃতীদল।" বাড়ির তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকেছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। 

এদিকে ডাকাতির পর দুষ্কৃতীরা এলাকা ছাড়তেই চিৎকার শুরু করেন অনিমেষবাবুর পরিবারের সদস্যরা। বলা বাহুল্য, প্রতিবেশীরাও  বাইরে বেরিয়ে সাহায্য করতে পারেননি। কেননা ডাকাতি করতে এসে প্রতিবেশীরা যাতে বেরিয়ে হইহই শুরু না করে দেয়, সেজন্য পাশাপাসি বাড়ি গুলোর সদর দরজাটিতে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীর দল। ডাকাতির পর অনিমেষবাবুর বাড়ির দরজাও বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয় ডাকাতরা। শেষপর্যন্ত  ছাদে উঠে  চিৎকার করলে দূরের প্রতিবেশিরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। অনিমেষবাবুর বাড়ির পাশাপাশি অন্যদেরও সদর দরজার ছিটকিনি খুলে দেন। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায় বাগদা থানার পুলিশ। এদিকে ডাকাতির ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছাতেই তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।  

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অনিমেষবাবুর পরিবারের সদস্যরা। বলা বাহুল্য, ডাকাত দলটিকে চিনতে পারেননি অনিমেষবাবুর স্ত্রী। তবে সর্বস্ব নিয়ে গেলেও ছেলে অক্ষত থাকায় স্বস্তি পেয়েছেন ওই গৃহবধূ। পুলিশ দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ক্ষোভে ফুটছেন বাসিন্দারা। কেননা গত কয়েকমাসে বাগদা এলাকায় একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ তদন্তে নেমে কোনও কিনারা করতে পারেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এদিনের ডাকাতির ঘটনায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের যোগসূত্র থাকতে পারে।