ফের কাঁপল ইন্দোনেশিয়া, ১৩০০ ছাড়াল মৃতের সংখ্যা


ফের জোড়া ভূমিকম্পে আতঙ্ক ইন্দোনেশিয়ায়। মঙ্গলবার সকালে সুম্বা দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে ৫.৯ কম্পাঙ্কের ভূকম্প টের পাওয়া যায়। দ্বীপটিতে সাড়ে সাত লক্ষ মানুষের বাস। প্রথম কম্পনের ১৫ মিনিটের মাথায় ঠিক ওই জায়গায় আবার দ্বিতীয় কম্পন। রিখটার স্কেলে এর মাপ ছিল ৬। কেন্দ্রস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার গভীরে। বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও সদ্য ভূমিকম্পের ধাক্কায় ধরাশায়ী দেশটিতে ফের বিপর্যয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।

শুক্রবার সুলাবেসি দ্বীপে কম্পন ও সুনামির পর থেকে লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিল। আজ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪৭। চারদিকে হাহাকার প্রিয়জনের জন্য। হাজারের বেশি মানুষকে একসঙ্গে কবর দেওয়ার জন্য খোঁড়া হয়েছে ফুটবল মাঠের আকারে গণকবর। যাঁরা বেঁচে রয়েছেন তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় খাবার নেই, জল নেই, জ্বালানি নেই। 

জোর করে দোকানে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হচ্ছে বাসিন্দাদের। ত্রাণের ট্রাক পাহারা দিচ্ছে পুলিশ, সোনা। জলের বোতল, পোশাক, কম্বলের জন্য দোকানের বাইরে মারপিট লেগে গিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। রাষ্ট্রপুঞ্জের ত্রাণ সমন্বয় সংস্থার এক মুখাপাত্রের কথায়, ''পরিস্থিতি ভয়ানক। এই মুহুর্তে খাবার, জল, ওষুধ, বাসস্থান ও মানসিক বল প্রয়োজন।'' 

ধসে চাপা পড়া একটি গির্জার তলা থেকে ৩৪ জন পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়েছে আজ। ওই গির্জা থেকে ৮৬ জন পড়ুয়া নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। এখনও ৫২ জনের কোনও সন্ধান নেই। এক স্বেচ্ছেসেবী সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, ''কাদা-মাটিতে তলিয়ে যাওয়ার জেরে ওই এলাকায় ঢোকা প্রায় অসম্ভব ছিল।'' 

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা আজ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৬৬ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ৬১ হাজার মানুষ ভিটেহারা। আহত ৮০০। ক্ষতিগ্রস্ত পালু বিমানবন্দর থেকে যাত্রিবাহী বিমান চলাচল শুরু হয়নি আজও।