মহাকাশের ‘দিগন্ত’ ছুঁয়ে খেতাব বাঙালির


পদার্থবিজ্ঞানে 'নয়া দিগন্ত' ছুঁলেন বাঙালি বিজ্ঞানী। 'ক্যালিফর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি' (ক্যালটেক)-এর গবেষক রানা অধিকারী। 'নিউ হরাইজনস ইন ফিজিক্স' খেতাব এ বার তাঁর। রানার সঙ্গেই 'ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি' (এমআইটি)-এর অন্য দুই বিজ্ঞানী লিজ়া বারসোট্টি এবং ম্যাথিউ ইভানস-ও পদার্থবিজ্ঞানে এই সম্মান পেয়েছেন এ বছর। পুরস্কারমূল্যের ৩০ লক্ষ ডলার ভাগ হয়ে যাবে তিন জনের মধ্যে। 

জীবনবিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা ও অঙ্ক, এই তিনটি বিভাগে 'নিউ হরাইজ়ন' পুরস্কার দেওয়া হয়। খুব অল্প বয়সে বিজ্ঞানে যাঁরা নজর কেড়েছেন, কিংবা নজির গড়েছেন, এ সম্মান তাঁদের জন্য। 'লেজ়ার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজ়ারভেটরি' (এলআইজিও)-এর বিজ্ঞানীদলের অন্যতম সদস্য রানা। এই দলটিই ২০১৫ সালে প্রথম 'গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভস' বা 'মাধ্যাকর্ষণ স্রোত' লক্ষ্য করেন। বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যায়, পুকুরে ঢিল ছুড়লে যেমন ছোট-ছোট স্রোত খেলে যায়, ঠিক তেমনই দু'টি ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের সংঘর্ষে মাধ্যাকর্ষণ স্রোত তৈরি হয়। এলআইজিও লক্ষ করেছে, অন্যান্য মহাজাগতিক ঘটনাতেও এ ধরনের স্রোত তৈরি হয়। যেমন, দু'টি নিউট্রন নক্ষত্রের সংঘর্ষেও মাধ্যাকর্ষণ স্রোত সৃষ্টি হতে পারে। উল্লেখ্য, নিউট্রন নক্ষত্র হল খুব ছোট ব্যাসার্ধের মহাজাগতিক বস্তু। এদের ঘনত্ব খুব বেশি। মূলত নিউট্রন দ্বারা গঠিত। 

মৌলিক পদার্থবিদ্যাতেই কৌতূহল রানার। জানিয়েছেন, মহাবিশ্বের গঠনের আভাস পেতে কৃষ্ণগহ্বরকে ব্যবহার করে গবেষণা শুরু করেছেন তাঁরা। আপাতত লক্ষ্যে অনড় বিজ্ঞানীরা।