বারুইপুরে বেআইনি বাজির কারখানায় বিস্ফোরণ


বারুইপুরের গোবিন্দপুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। ৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা। বেলা বারোটা নাগাদ হঠাৎই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। একের পর এক বিস্ফোরণের সঙ্গে এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বিস্ফোরণ কমে অবস্থা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর স্থানীয় বাসিন্দারা যান ঘটনাস্থলে। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রাথমিক ভাবে ৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বেলা তখন বারোটার আশপাশে। হঠাৎই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারুইপুরের গোবিন্দপুরের গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের সঙ্গে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। বিস্ফোরণ কমার পর ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে যায় দমকল ও স্থানীয় পুলিশ। বিস্ফোরণে বাড়িটির একাংশ ধসে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে মৃতদের পাশের একটি বাগানের মধ্যে বস্তা চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।

অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
একেতে কারখানাটি ছিল বেআইনি। তাই সেখানে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা যে থাকবে না তা ধরেই নেওয়া যায়। তা ছাড়াও বাজির মশলা ও রাসায়নিক পাশা রাখা হয়েছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সামনেই পুজো, ছিল বড় বরাত
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনেই দুর্গা পুজো থাকায় বড় বরাত পেয়েছিলেন বেআইনি ওই কারখানার মালিক। সবে বর্ষা গিয়েছে। ফলে আতসবাজির মশলা শুকনো করা নিয়েও একটা সমস্যা তৈরি হয়েছি বলে জানা গিয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক হিটারে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় মশলা শুকনো করা হয়। তা করতে গিয়েই বিস্ফোরণ কিনা জানা যায়নি।

এর আগেও বিস্ফোরণ বারুইপুরে
২০১৭-র ১৪ জুলাই বারুইপুরেরই গায়েনপাড়ায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন কারখানার মালিক। বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে গিয়েছিল। বাড়ির অ্যাসবেস্টসের ছাদ উড়ে গিয়েছিল। বাড়ির পাশেই কারখানা চালাতেন দুই ভাই অশোক ও প্রদীপ মণ্ডল। মশলার সঙ্গে রায়াসনিক মেশানোর সময় আগুন ধরে যায় বলে পরে জানা গিয়েছিল।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুজোর মুখেই ফের বাজি কারখানাগুলিতে অভিযান চালানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে বাজি কারখানার আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশি তল্লাশি হয় না বললেই চলে। আর বেআইনি কারখানার মালিকরা পয়সা দিয়ে এলাকার রাজনৈতিক নেতা আর পুলিশকে ম্যানেজ করেন বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।