পিসি-ভাইপো দ্বন্দ্ব মেটাতে ‘মধ্যযুগীয়’ নিদান, গাছে বাঁধা শরীরটা দাউদাউ করে জ্বলছে

থানা-পুলিশ পরে হবে। সালিশি সভার নিদানই সব। ফের মাতব্বরদের দাদাগিরি মালদহের হাবিবপুরে। যার জেরে ঘটে গেল নৃশংস ঘটনা। সালিশি সভার নিদানে যুবককে বেঁধে পেটানোর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল গায়ে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অর্ধদগ্ধ যুবক এখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

মালদহের হাবিবপুরের কেন্দপুকুরে জমি নিয়ে পারিবারিক গন্ডগোল পিসি-ভাইপোর মধ্যে। পিসি শ্রীমতী হাঁসদার সঙ্গে ভাইপো মণ্ডল হাঁসদার বিবাদ দীর্ঘদিনের। প্রায়শই তাঁদের মধ্যে বিবাদ লেগে থাকত। ঝগড়া তো হতই, তা থেকে হাতাহাতিও পর্যন্ত পৌঁছে যেত। কিন্তু এদিন যা ঘটল, সেই নৃশংসতা অবর্ণনীয়।
পিসি-ভাইপোর বিবাদের নিষ্পত্তি ঘটাতে সালিশিসভা ডাকা হয়েছিল। ভাইপোর বিরুদ্ধে গ্রামের মোড়লদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পিসি শ্রীমতী হাঁসদা। সালিশি বসেছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন বাদী-বিবাদী উভয়েই। ছিলেন প্রতিবেশীরাও। সমস্ত পক্ষের মত শুনে মোড়লরা রায় দেন পিসির পক্ষে। এ পর্যন্ত ঠিকঠাক ছিল।

কিন্তু তারপর যা ঘটল, তা মধ্যযুগীর নৃশংসতাকেও হারমানায়। অভিযুক্ত মণ্ডল হাঁসদার উপর শুরু হয় অত্যাচার। গ্রামের মোড়লরা নিদান দেন, মণ্ডলকে গাছে বেঁধে পেটাতে। তারপর গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দিতেও নিদান দেন তাঁরা। সেইমতো মারধরের পর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এরপর মণ্ডল হাঁসদার পরিবার ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে মণ্ডল হাঁসদা। শরীরের অনেকাংশ তখন পুড়ে গিয়েছে। সেই অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা। হাবিবপুর থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।