স্ত্রীকে খুনের পর মেয়ে কোলে দেহ আগলে বসে স্বামী! চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজধানীর বুকে


দুবছরের শিশু সন্তানের সামনে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ ২৪ বছর বয়সী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দিল্লির কমলা মার্কেট এলাকার। এর পরের ঘটনা আরও চমকে যাওয়ার মতো। জেরায় যুবক জানিয়েছে, শিশু সন্তানকে নিয়ে মৃতদেহের পাশেই তিনি বসেছিলেন প্রায় ২৪ ঘন্টার মতো। এরপর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই যুবক।

অভিযুক্ত যুবক দিল্লি ইউনিভার্সিটি কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী বলে জানা গিয়েছে। অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের সন্দেহের বশেই খুন বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুজনের মধ্যে এনিয়ে ঝগড়াও হত বলে জানা গিয়েছে। ১৮ অক্টোবর রেশমা বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছিল। যদিও পরের দিনই শিশুকে নিয়ে ফেরত আসে। ওইদিন রাতে ঝগড়ার সময় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় রেশমাকে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আত্মসমর্পণকারী যুবকের নাম কামিল। পুলিশের তরফে যুবককে কমলা মার্কেটের শাকির কি ডান্ডির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ২২ বছরের স্ত্রী রেশমার দেহ পড়ে ছিল ঘরের মেঝেতে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কামিল পণের দাবিতে রেশমার ওপর অত্যাচার করত। অভিযুক্ত কামিলের বিরুদ্ধে হত্যা ও বধূহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, শিশু কন্যাকে নিয়ে কামিল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। রেশমার পরিবারের তরফে গ্রহণ করতে অস্বীকার করার পর কামিলের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিশুটিকে। ডিসিপি(সেন্ট্রাল) মন্দীপ সিং রনধাওয়া জানিয়েছেন, রবিবার বেলা দুটো নাগাদ কামিল থানায় গিয়ে স্ত্রীকে খুনের কথা জানিয়ে আত্মসমর্পণ করে। জেরায় কামিল জানিয়েছে, রেশমাকে বছর তিনেক আগে বিয়ে করেছিল সে।

রেশমার দেহ পাঠানো হয় লোকনায়ক হাসপাতালে।