দ্বিতীয়বার কন্যাসন্তানের জন্ম, সদ্যোজাতকে ‘‌খুন’‌ করল দম্পতি


সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে খুন করে দেহ খালের ধারে চাপা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ বারাসতের কালিকাপুরের এক দম্পতির বিরুদ্ধে৷ ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা অভিযুক্তরা৷
দক্ষিণ বারাসতের কালিকাপুরের ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল বছর চারেক আগে৷ প্রথমবার কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় সঞ্জয় কুমারের স্ত্রী৷ অভিযোগ, কন্যাসন্তান হওয়ায় স্ত্রীকে গঞ্জনাও দিত সে৷ বারবার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হন ওই মহিলা৷ মাসখানেক আগে আবারও এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় ওই মহিলা৷ এরপর থেকেই বাড়তে থাকে অত্যাচার৷ অভিযোগ, স্ত্রীর পাশাপাশি সদ্যোজাতর উপরেও অত্যাচার করত সঞ্জয়৷ প্রতিবেশীদের দাবি, পুজোর পর থেকে সদ্যোজাতের অসুস্থতা শুরু হয়৷ বারবার জ্বর–সর্দিতে ভুগছিল সে৷ তবে সঞ্জয় কিংবা তার স্ত্রী কেউই নিজের সন্তানকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়নি৷ টাকার অভাবেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারছে না বলে প্রতিবেশীদের জানায় ওই দম্পতি৷ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন প্রতিবেশীরা৷ অভিযোগ তাতেও পাত্তা দেয়নি নবজাতকের মা–বাবা৷ 
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে সদ্যোজাতের কান্নার শব্দ শুনতে পাননি প্রতিবেশীরা৷ সন্দেহ হওয়ায় সন্ধেবেলা প্রতিবেশীরা নবজাতকের খোঁজে সঞ্জয়ের বাড়িতে যায়৷ শিশুকন্যাকে দেখতে পাননি তাঁরা৷ খোঁজ করলে সঞ্জয়ের স্ত্রী জানায়, সদ্যোজাত দুপুরে মারা গিয়েছে৷ তাই তার দেহ বাড়ি লাগোয়া খালের পাশে পুঁতে দেওয়া হয়েছে৷ প্রতিবেশীদের দাবি, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে কন্যাসন্তানকে৷ এরপর তাঁরাই খবর দেন জয়নগর থানায়৷ পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি খুঁড়ে শিশুর দেহ উদ্ধার করে৷ আপাতত দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ খুন না অসুস্থতায় মৃত্যু, সে বিষয়ে এখনও কিছুই জানায়নি পুলিস৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে৷ এদিকে, এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত মা–বাবা৷ পুলিস তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে৷