‘একসময় ঋতুমতী মহিলাদেরও রান্নাঘরে ঢুকতে দেওয়া হত না’


তিরুঅনন্তপুরম: সবরীমালা মন্দিরে সব বয়সী মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়ে কোনও পিটিশন জমা করবে না কেরল সরকার৷ সোমবার সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন৷ তিনি জানান, রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মানতে বাধ্য৷ পাশাপাশি সবরীমালা ইস্যুতে বিজেপি ও আরএসএস রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দ্বিমুখী আচরণের প্রবল সমালোচনা করেন৷ জানান, কেরলে সবরীমালা মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করছে তারা৷ অথচ ২০১৬ সালে বম্বে হাইকোর্ট শনি শিংনাপুর মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের অধিকার দিল তখন বিজেপি সরকার সেই রায় মেনে নিল৷ সুপ্রিম কোর্ট হাজি আলি দরগাতে মহিলাদের প্রবেশের অধিকার দিল৷ তখনও বিজেপি মুখে রা পর্যন্ত কাড়েনি৷ মহারাষ্ট্রের বেলায় এক নীতি আর কেরলে এক নীতি চলছে গেরুয়া দল৷ এতেই তাদের দ্বিমুখী মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়৷

বিরোধী দলগুলিতে তাদের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী৷ জানান, শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করলে চলবে না৷ সময় এসে গিয়েছে গঠনমূলক ও ইতিবাচক কাজে বিরোধী দলগুলির এগিয়ে আসার৷ সময় বদলাচ্ছে৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরানো ধ্যানধারণারও বদল ঘটছে৷ আগে তো ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের বাড়ি থেকে দুরে রাখা হত৷ অনেক বাড়িতে রান্নাঘরে ঢোকার অনুমতিও দেওয়া হত না৷ কারণ ওই সময় তাদের অশুদ্ধ বলে মনে করা হত৷ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সব কিছুতে বদল এসেছে৷ সমাজের মধ্যে থেকে আওয়াজ ওঠে এই সব কিছু বদলে ফেলার৷