ক্যানসার প্রতিরোধের উপায় জানিয়ে নোবেল জিতলেন দুই চিকিত্‍সাবিজ্ঞানী


ক্যানসার রোধ করবেন কী করে? এক, বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ক্যানসার কোষকে বিনাশ করার চেষ্টা করা। দুই, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এতটা বাড়িয়ে তোলা যাতে, সে নিজেই ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এই দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটিই আবিষ্কার করে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই রোগ প্রতিরোধক বিশেষজ্ঞ বা ইমিউনোলজিস্ট।

একজন হলেন আমেরিকার জেমস পি অ্যালিসন। বয়স ৭০। অন্যজন জাপানের তাসুকু হোনজো। বয়স ৭৬। "এই দুই চিকিৎসাবিজ্ঞানীর গবেষণা ক্যানসার চিকিৎসায় বিপ্লব এনেছে। শুধু তাই নয়, ক্যানসারকে এতদিন আমরা যেভাবে দেখে এসেছি যেভাবে সামলানোর কথা ভেবে এসেছি, সেই ভাবনাতেও বদল এনেছে এঁদের আবিস্কার।" পুরস্কার ঘোষণা করে বলেছে নোবেল কমিটি। সোমবার সুইডেনের করোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসায় নোবেল পাওয়া এই দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে। সেইসঙ্গে নোবেল ফাউন্ডেশনের টুইটে বলা হয়, 'শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানোর প্রবণতাকে প্রতিহত করে ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে এই দুই গবেষককে পুরস্কৃত করা হলো।  পুরস্কারের আর্থিক মূল্য হিসেবে দুই বিজ্ঞানী এক সঙ্গে পাবেন মোট ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। আনুষ্ঠানিকভাবে এই বছরের ১০ ডিসেম্বর নোবেল বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কারের অর্থ। মূলত যে আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার, তা হল দেহের রোগপ্রতিরোধক প্রক্রিয়ার এমন কিছু কোষ রয়েছে যা প্রোটিন উৎপাদন করে। এই প্রোটিনকেই টার্গেট করে দেহের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে তুলবে এই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি। ফলে মানবদেহ স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই ক্যানসার কোষগুলিকে ধ্বংস করবে।