ফেসবুকে বন্ধুত্ব, পরে মডেলিং-এর টোপ দিয়ে ধর্ষণ, নিউ ব্যারাকপুরে গ্রেফতার প্রতারক


পুলিশের জালে সুরজকুমার মণ্ডল।

সোশ্যাল মিডিয়াতে আলাপ ও বন্ধুত্ব। তারপর মডেলিং করানোর নামে ডেকে নিয়ে এসে ধর্ষণ। বুধবার বারাসত মহিলা পুলিশ স্টেশনে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দায়ের করলেন নিউ আলিপুরের এক মহিলা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনার শুরু এই বছরের শুরুতে, ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ।  নিউ আলিপুরের মহিলার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ জমে সুরজকুমার মণ্ডলের। নিজেকে যাদবপুরের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেয় সুরজ। বেশ কিছু মডেলিং এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত বলেও জানায় সে। উঠতি মডেলদের গ্রুম করার পাশাপাশি কাজের সুযোগ করে দেওয়াই তার পেশা, প্রথম আলাপে এরকমটাই জানিয়েছিল সুরজ। ফেসবুকে হওয়া সেই সব কথা বিশ্বাসও করেন নিউ আলিপুরের মহিলা।

অভিযোগ, এর পরই শুরু আসল অপারেশন। আলাপ কিছুটা জমার পর ওই মহিলাকে মডেলিং-এর টোপ দেয় সুরজ। অডিশনের নামে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় বারাসত স্টেডিয়ামে। খেলা দেখা আর সঙ্গে অডিশন, এই ছিল তার প্রস্তাব। ৭ অক্টোবর সুরজের পরিকল্পনামাফিক বারাসত স্টেডিয়ামে হাজির হন ওই মহিলা। খেলা দেখার পর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বি-ব্লকের কাছে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করে সুরজ। বারাসত মহিলা পুলিশ থানায় এই অভিযোগই জানিয়েছেন মহিলা। যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছে এই নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।


বারাসত মহিলা পুলিশ থানায় অভিযোগকারিনী।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারিনীর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে নিউ ব্যারাকপুর থেকে গ্রেফতারও করা হয়েছে অভিযুক্ত সুরজকুমার মণ্ডলকে। প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, সুরজের আসল বাড়ি খড়দহে। শুধু এই মহিলাই নন, এর আগে আরও বেশ কিছু মহিলাকেও ফেসবুকে মডেলিং-এর টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলার অভিযোগ আছে সুরজের বিরুদ্ধে। শুক্রবার অভিযোগকারিনীকে নিয়ে বারাসত স্টেডিয়ামে যাবে পুলিশ, এমনটাই জানা গিয়েছে। যেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, অভিযোগকারিনীকে সঙ্গে নিয়ে সেই এলাকা পরিদর্শন করবে পুলিশ। আজ অভিযুক্ত সুরজকুমার মণ্ডলকে বারাসত আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।