রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের শেষে টাই, অভিজ্ঞতার অভাবে ম্যাচ ফস্কাল উইন্ডিজ


ভারত সফরে প্রথমবার টিম ইন্ডিয়াকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল উইন্ডিজ। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ টাই করলেন সাই হোপ। তবে নিঃসন্দেহে জেতা ম্যাচ শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার অভাবে মাঠে ফেলে এল হোল্ডারের দল। এশিয়া কাপে আফগানিস্তান ম্যাচের পর আরও একটা টাই ভারতের।

ভারতের ৩২১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথমে উইকেট খুঁইয়ে চাপের মুখে পড়ে ইন্ডিজ। দলের হাল ধরেন সাই হোপ ও সিমরন হেটময়ার। গত ম্যাচের মতোই দুরন্ত ব্যাট করেন উইন্ডিজের তরুণ প্রতিভা। মাত্র ৬ রানের জন্য আরও একটা শতরান খুঁইয়ে এলেন হেটমেয়ার। ৯৪ রানের মাথায় অযথা চালানোর দরকার ছিল না। কিন্তু অনভিজ্ঞতার কারণে যুজবেন্দ্র চহলকে সুইপ করতে গেলেন। ব্যাটের কানায় লাগা বল তালুবন্দি করলেন বিরাট কোহলি। ৬৪ বলে হেটমেয়ারের ৯৪ রানের ইনিংস সাজানো সাতটি ছক্কা ও ৪টি বাউন্ডারিতে। হেটমেয়ারের পর দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন সাই হোপ। শতরানও হাঁকালেন উইন্ডিজের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তাঁর ব্যাট থেকে এল ঝকঝকে ১৩৪ বলে ১২৩ রানের ইনিংস। তবে সেট ব্যাটসম্যান হোপকে আর একটু দায়িত্ব নিতে হত। সেক্ষেত্রে ম্যাচ ড্র হত না। শেষ বলে জেতার জন্য দরকার ছিল ৫ রান। কিন্তু উমেশ শর্মা ঝোলালেন। অনেক বাইরে বল করলেন। কভার দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকালেন হোপ। ম্যাচ টাই। 

ম্যাচের ফল যাই হোক না কেন! ভারত বনাম উইন্ডিজ দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে কিং কোহলির জন্য। আরও একবার একাধিক পরিসংখ্যান জুড়ল কোহলির নামের সঙ্গে। সবচেয়ে দ্রুতগামী দশ হাজারি রানের মালিক হলেন কোহলি। এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে কম ইনিংসে হাজার রান পার করলেন। কোহলি নিলেন মাত্র ১১টি ইনিংস। আরও একটা শতরান এল বিরাটের ঝুলিতে। এনিয়ে কেরিয়ারের ৩৭তম সেঞ্চুরি।

কিং কোহলির ১৫৭ রানের সৌজন্যে ভারতের স্কোর পৌঁছল ৩২১ রানে। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শিখর ধবন ও রোহিত শর্মা এদিন ব্যর্থ হয়েছেন। তবে অম্বাতি রায়াডু ৭৩ রান করে বিরাটকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবাচ্ছে ধোনির ফর্ম। আরও একবার ধোনি ব্যর্থ হলেন। এদিন তাঁর কাছে সময় ছিল। কিন্তু সদ্ব্যবহার করতে পারলেন না প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।