বাড়িওয়ালার তিনের শিশুকে কিডন্যাপ করে ৫ কোটি চাইল DU ছাত্রী!


বাড়িওয়ালার বাবার বকুনির বদলা। ৩ বছরের নাতিকে অপহরণ করে ৫ কোটি টাকা দাবি করল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও তাঁর ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিল্লিতে। যদিও পুলিশ শেষ পর্যন্ত রহস্যভেদ করে ফেলেছে। 

অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সমস্ত ঘটনা সামনে চলে আসে। একটি ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ছোট্ট রুদ্রকে। জল ও খাবারের অভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল সে। ডাক্তারদের দাবি, শরীরে ৯৭ শতাংশ ডিহাইড্রেট হয়ে পড়েছিল, রুদ্রে মৃত্যুও হতে পারত।

ঘটনায় অভিযুক্ত ২২ বছরের তরুণী নিশা, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বি কম ছাত্রী ও তাঁর ১৬ বছরের ভাই তরুণ। দক্ষিণ দিল্লির ঘিতোরনি গ্রামের বাড়ির সামনে থেকেই রুদ্রকে অপহরণ করে দু'জন। তবে ছক কষা হয়েছিল কয়েক মাস আগে থেকেই। রুদ্রকে যে ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছিল, সেটি কয়েক মাস আগেই ভাড়া করেছিল তারা।

হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করেন নিশা। দু'জনেই টেকনোলজিতে তুখোড়। অভিযুক্তরা বৃহস্পতিবার দুপুরে রুদ্রকে অপহরণ করে। হোয়াটসঅ্যাপে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসার পরই পুলিশকে খবর দেয় রুদ্রর পরিবার। রুদ্রর বাবা অনিল গুপ্তর কাছে ৫ কোটি টাকা চায় নিশারা। অনিলবাবু মুদি ব্যবসায়ী। অনেক দিন থেকেই তাঁর সম্পত্তির উপর লোভ ছিল ভাড়াটে নিশা ও তার ভাইয়ের।

ফোনের আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করেই অভিযুক্তদের লোকেশন জেনে ফেলে পুলিশ। হাতেনাতে সেখান থেকেই পাকড়াও করা হয় তাঁদের। সেই সময় কোথায় টাকা আনতে হবে তা জানানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করেছিল নিশা। অনিলবাবু নিশার সঙ্গে টাকা রফা করেছিলেন ২ কোটিতে।

পুলিশ ঠিক করেছিল টাকার ব্যাগে ট্র্যাকার রেখেই অপহরণকারীদের ধরে ফেলবেন তাঁরা। সেই মতোই ২ কোটি টাকা দিয়ে ব্যাগ নিশার কথা মতো জায়গায় অনিলবাবু ব্যাগ রেখে দেন। সেখানে সাদা পোশাকে নজর রাখছিল পুলিশ। সেখানেই তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়। 

পুলিশি জেরায় প্রথমে কিছু না বললেও, পরে ভেঙে পড়ে নিশা। জানায়, দাদুর বকা খেয়ে অপমানিত হওয়ায় সেই বদলাই নিতে চেয়েছিল নিশারা।