এখনও চলছে Genocide, ৪৪৪ পাতার রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘ-এর


রাষ্ট্রসংঘ: মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা এখনও জারি আছে। এমনই রিপোর্ট দিল রাষ্ট্রসংঘ। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ টিমের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে যাওয়া হবে।

ইউএন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের চেয়ারপার্সন মারজুকি দারুসমান সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, শুধুমাত্র গণহত্যাই নয় জন্ম রোধ করা হচ্ছে ওই ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এইসব ঘটনাকেই একসঙ্গে 'গণহত্যা' বলে চিহ্নিত করছে রাষ্ট্রসংঘ।

এই বিষয়ে ৪৪৪ পাতার একটি রিপোর্ট দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। বিষয়টি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাখাইনে সেই জেনোসাইডের তদন্ত হওয়া জরুরি বলেও মনে করছে রাষ্ট্রসংঘ।

এর আগে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালানো হয়েছে, বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রা'দ আল হুসেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন রোহিঙ্গাদের ওপর যে বিভীষিকাময় নির্যাতন চালানো হয়েছে তার জন্যে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার একদিন হবেই।

হুসেন বলেছিলেন, "যে মাত্রায় সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে সেটাকে গণহত্যা বলা হবে কিনা এ ব্যাপারে একেবারে শীর্ষ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।" গণহত্যার সংজ্ঞা ঠিক করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হলোকাস্ট বা হত্যাযজ্ঞের পর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গঠিত রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলোও এই গণহত্যার ব্যাপারে একটি সনদে স্বাক্ষর করে। যেখানে গণহত্যা বলতে বোঝানো হয়েছে, কোনও বিশেষ একটি জনগোষ্ঠীকে নিধন করার লক্ষ্যে তাদের ওপর নিপীড়ন চালানো।

গত বছরের অগস্ট মাস থেকে রোহিঙ্গারা মায়নমার ছেড়ে আসতে শুরু করে। কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে, যা মোট রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুই তৃতীয়াংশের মত। এছাড়াও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শত শত গ্রাম এবং কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে।