পড়শিদের সামনে লাঞ্ছিত হয়েই আত্মহত্যা, অভিযোগ বাপনের স্ত্রীর

বাপন সাহার স্ত্রী শর্মিষ্ঠা।

পড়শিদের সামনে লাঞ্ছিত হওয়ায় তাঁর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ জানালেন নবান্নের সামনে অগ্নিদগ্ধ হওয়া বাপন সাহার স্ত্রী শর্মিষ্ঠা। রবিবার রাতে তিনি পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, তাঁর স্বামী পাড়ার লোকের সামনে প্রোমোটার ও তাঁর লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত হন। পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাত পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। তারা জানায়, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

শর্মিষ্ঠাদেবী আরও জানান, তাঁদের বাড়ির সামনের রাস্তা লাগোয়া বহুতলের সীমানা প্রাচীরে দরজা তৈরি করা নিয়ে স্থানীয় এক প্রোমোটারের সঙ্গে বাপনবাবুর বিবাদ হয়। তার জেরে ওই প্রোমোটার ও তাঁর লোকজন তাঁর স্বামীকে পাড়ার লোকের সামনে এমন লাঞ্ছনা করেন যে, তিনি ভেঙে পড়েন। কথা বন্ধ করে দেন। ৩১ অক্টোবর, বুধবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাতে বাড়ি না ফেরায় গোলাবাড়ি থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়। গত ২ তারিখ পুলিশ শর্মিষ্ঠাদেবীকে জানায়, বাপনবাবু নবান্নের সামনে আগুন দিয়েছেন। সোমবার শর্মিষ্ঠাদেবী বল‌েন, ''আমার স্বামী লাঞ্ছিত হওয়ার পরই ভেঙে পড়েছিলেন। চাকরি না পেয়ে বা অন্য কোনও কারণে নয়। তাঁর মৃত্যুর জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁরা শাস্তি পান। যাঁদের বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ করেছি তাঁরা এলাকার প্রভাবশালী বলে পরিচিত।''