‘এনকাউন্টার’-এ নিহত সাংবাদিক শুজাত বুখারি হত্যাকাণ্ডের মূল পাণ্ডা নাভেদ জাট

শুজাত বুখারি ও নাভেদ জাট (ডানদিকে)।

ভারতীয় সেনার গুলিতে নিহত লস্কর ই তৈবা জঙ্গি নাভেদ জাট।  যে চার জনের নেতৃত্বে খুন করা হয়েছিল 'রাইজিং কাশ্মীর' পত্রিকার সম্পাদক শুজাত বুখারিকে, তাদের পান্ডা ছিলেন এই লস্কর জঙ্গিই। বুধবার, জম্মু ও কাশ্মীরের  বদগাম জেলায় একটি এনকাউন্টারে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে।

গোয়েন্দাদের সূত্রে ভারতীয় বাহিনীর কাছে খবর পৌঁছয় বদগাম জেলার কাঠপোড়া এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে কয়েক জন জঙ্গি।  সেই মতো বুধবার ভোররাত থেকেই চালানো হচ্ছিল তল্লাশি অভিযান। নির্দিষ্ট অঞ্চলে পৌঁছনোর পর ভারতীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেন ভারতীয় জওয়ানরাও। তখনই ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় নাভেদ জাট নামের এই লস্কর জঙ্গির। তাকে পাকিস্তানি নাগরিক বলে আগেই জানিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। নিরাপত্তার কারণে বদগাম জেলায় ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

গত শুক্রবার অনন্তনাগ জেলায় পুলিশি এনকাউন্টারে মারা যায় আজাদ আহমেদ মালিক নামের আরেক শুজাত হত্যাকারী। গত ৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীনগরের হাসপাতালে পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়েছিল নাভেদ জাট। এর পর জুনের ১৪ তারিখেই আরও তিন স্থানীয় জঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে শুজাত বুখারিকে হত্যা করে নাভেদ। ১৪ জুন নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল শুজাত বুখারির দেহ। মারা হয়েছিল তাঁর দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীকেও। ওই হত্যাকাণ্ডে নাভেদ জাট ছাড়াও কাশ্মীরের শেখ সাজাদ গুল (পরবর্তীকালে ভুয়া পাসপোর্টের মাধ্যমে সে বর্তমানে পাক নাগরিক), বিজবেহারার আজাদ আহমেদ মালিক এবং কাজিগুন্দের মুজফফর আহমেদ ভাট নামে আরও তিন জঙ্গি জড়িত, এমনটাই জানিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। আজাদ মালিক ও নাভেদ জাটের পর বাকি থাকল আর দুই হত্যাকারী। যদিও মূল পাণ্ডা নাভেদ জাটের মৃত্যু বুখারি হত্যাকাণ্ডের মধুর প্রতিশোধ বলেই মনে করছেন অনেকে।