রাজস্থানে বিজেপির হার-জিতের চাবিকাঠি বাহ্মণ ও রাজপুতদের হাতেই


আসন্ন রাজস্থান নির্বাচনে জয়লাভ করা বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন ফ্যাক্টরগুলি। তার মধ্যে শোনা যাচ্ছে, বাহ্মণ ও রাজপুতদের ভোটের ওপরেই বিজেপির হার-জিত নির্ভর করছে রাজস্থানে। সেকথা আঁচ করে গেরুয়া শিবির আগেভাগেই ব্রাহ্মণ, রাজপুত ও উচ্চ-বর্ণের হিন্দুদের ভোট পেতে উঠেপড়ে লেগেছিল। তবে তাতে কতটা ফল হয়েছে তা সময়ই বলবে।


মুখ ফিরিয়েছে ব্রাহ্মণরা
তবে ব্রাহ্মণ, রাজপুত ও উচ্চ-বর্ণের হিন্দুরা অনেকটাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিজেপির কাছ থেকে। তাদের ফিরিয়ে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে।


সকলে ক্ষেপে বসুন্ধরার ওপরে
এক্ষেত্রেও রাজপুত ও ব্রাহ্মণরা ক্ষেপে রয়েছেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার ওপরে। বহু প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন যা পূরণ করতে পারেননি। যা এই দুই গোষ্ঠীকে ক্ষুব্ধ করেছে। বিজেপির প্রতি ততোধিক বিদ্বেষ নেই, যতটা রয়েছে বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াকে নিয়ে।


বিরুদ্ধে ভোট দেবে রাজপুতরা
অনেকেই মনে করছেন, রাজস্থানে যে হাওয়া বইছে তাতে ব্রাহ্মণ ও রাজপুতরা ৭ ডিসেম্বরের ভোটে রাজ্যের ২০০টি বিধানসভা আসনেই বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন। আর তেমন হলে পরাজয় আটকানো সম্ভব হবে না গেরুয়া শিবিরের। তবে যদি এমনটা না হয়, তাহলে সুযোগ থাকবে বসুন্ধরার দলের কাছে।


দল ছেড়ে অন্য দলে নেতারা
সম্প্রতি রাজপুত নেতা যশবন্ত সিংয়ের পুত্র মানবেন্দ্র সিং বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে গিয়েছেন। ব্রাহ্মণ নেতা ঘনশ্যাম তিওয়ারি বিজেপি ছেড়ে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়েছেন। ফলে এসবের ফলই ভোটের বাক্সে বিজেপির বিরুদ্ধে যেতে চলেছে।


বড় ফ্যাক্টর ব্রাহ্মণ-রাজপুতরা
রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৬-৮ শতাংশ রাজপুত ও ৭-৮ শতাংশ ব্রাহ্মণ। ২০১৩ সালের ভোটে রাজপুতরা ২৭টি আসনে জিতেছিল আর বাহ্মণরা ১৬টি আসনে জয় পেয়েছে। এই দুই গোষ্ঠীর ভোটই এবার সব হিসাব উল্টে দিতে পারে। সেটা বুঝতে পেরে আতঙ্কে বিজেপি শিবিরও।