৪০ বছরের কাঠের সেতু হবে কংক্রিটের


রাজ্যের সব খাল, নদীর ওপরে থাকা কাঠের সেতুকে ভেঙে কংক্রিটের সেতু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় দক্ষিণবঙ্গের ৬টি জেলার এক হাজার কাঠের সেতু ভেঙে কংক্রিটের করবে সেচ দপ্তর। এই সেতুগুলি ৪০ থেকে ৫০ বছরের পুরনো। জেলাগুলি হল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও বীরভূম। সব কটি কাঠের সেতুই সেচ দপ্তরের অধীনে। কংক্রিটের সেতু করার জন্য রাইটসকে সমীক্ষা করতে বলা হয়েছে। নতুন সেতু তৈরি করার জন্য ৭৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নতুন সেতুগুলি হবে সাড়ে চার মিটার চওড়া ও চার চাকা চলাচলের উপযুক্ত। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকটি সেতু ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। পূর্ত ও কেএমডিএ–‌র পাশাপাশি সেচ দপ্তরের হাতে থাকা রাজ্যের প্রায় ৩৫০০ সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায় বেশ কিছু সেতুর বয়স ৩০–‌এর বেশি। তাই ঠিক হয়েছে যেগুলি ৩০ বছরের বেশি বয়স হয়েছে, সেই কাঠের সেতুগুলিকে কংক্রিটের বানানো হবে। প্রথম ধাপে হাজারের মধ্যে ৩৮০টি সেতু কংক্রিটের করা হবে। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দপ্তরের রাস্তায় যদি সেচ দপ্তরের সেতু থাকে তা পূর্ত দপ্তরকে হস্তান্তর করতে হবে। আবার কেএমডিএ এলাকায় যদি সেচ দপ্তরের কোনও সেতু থাকে তা–‌ও পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের হাতে তুলে দিতে হবে সেচ দপ্তরকে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, পূর্ত দপ্তরের রাস্তার ওপর সেচ দপ্তরের ৩৭৮টি ছোট–‌বড় সেতু রয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৫১টি সেতু পূর্ত দপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে সেচ দপ্তর। বাকি ২২৭টি খুব দ্রুত হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সেচ দপ্তরের এক শীর্ষ আধিকারিক। কেএমডিএ এলাকায় সেচ দপ্তরের প্রায় ৩২টি সেতু রয়েছে। সেগুলি এবার থেকে কেএমডিএ রক্ষণাবেক্ষণ করবে। প্রয়োজনে নতুন করে তৈরি করবে।