১ল ডিসেম্বর থেকে বন্ধ হতে পারে আপনার গ্যাস ডেলিভারি!


কলকাতাঃ দেশের বেশিরভাগ মানুষের রান্না ঘরেই রয়েছে গ্যাস। তবে ব্যবহারকারীদের অনেকেই এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে কেওয়াইসি (নো ইওর কাস্টমার) জমা করেননি। তাঁদের আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কেওয়াইসি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে ব্যবহারী কেওয়াইসি যদি জমা না দেয় তাহলে গ্রাহকদের সিলিন্ডার ডেলিভারি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। তেল সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত গ্রাহকেরা ব্যাক্তিগত তথ্য জানাতে আগ্রহী নয়। তবু দ্রুত নিজেদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই কেওয়াইসি জমা দেওয়ার কথা বলছে তেল সংস্থাগুলি।

সূত্রের খবর, গোটা দেশে ওই ধরনের গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় এক কোটি। তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এমন গ্রাহক রয়েছে তিন লক্ষ।

বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকার নীচে আয়, এমন পরিবার এখন ভর্তুকিতে রান্নার গ্যাস পায়। কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ ছিল, এ দেশে বহু ভুয়ো গ্যাস সংযোগ আছে, যেখানে ভর্তুকি পৌঁছে যাচ্ছে। সেসব ভুয়ো গ্রাহকের নামে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডার ইস্যু হলে, তা চলে যাচ্ছে খোলাবাজারে। এটা আটকাতেই সরাসরি ব্যাংকে অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো ভুয়ো সংযোগ অনেকটা বন্ধ করতে পেরেছে মোদী সরকার। কিন্তু এরপরেও রয়ে গিয়েছে বেশ কিছু সমস্যা। এত কিছুর পরেও সত্যিই কি সঠিক ব্যক্তির কাছে ভর্তুকি যাচ্ছে? আর তা জানতেই একপ্রস্থ কেওয়াইসি দাবি করে তেল সংস্থাগুলি। ডিলারদের মাধ্যমে সেই কেওয়াইসি জমা করেন বেশিরভাগ গ্রাহক। তাঁরা এখন ভর্তুকিতে সিলিন্ডার পাচ্ছেন।

কিন্তু অনেকই রয়েছেন এখনও পর্যন্ত কোনও কিছু তথ্যই জমা দেননি। যাদের মধ্যে গ্রাহক হিসেবে তেল সংস্থার খাতায় নাম আছে, কিন্তু বাস্তবে অস্বিত্ব নেই, এমনটাও জানিয়েছে তেল সংস্থাগুলি। এই গ্রাহকদের চিহ্নিত করতেই ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্থান পেট্রলিয়াম এবং ভারত গ্যাস থেকে গ্রাহকের ব্যক্তিগত কিছু তথ্য বা কেওয়াইসি চাওয়া হয়েছে। ডিলার মারফত সেই গ্রাহকরা তাঁদের তথ্য জমা করবেন। এই ব্যাপারে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে সমস্ত গ্রাহককে কেওয়াসি জমা করার জন্যে বারবার আবেদন করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বেশির ভাগই জমা দেননি। আর যারা জমা করেননি তাদের চলতি মাসের শেষের পর গ্যাস বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।