কলেজে আবশ্যিক ৬০% হাজিরা, বহিরাগত রুখতে কড়া পার্থ


পরীক্ষায় বসার জন্য প্রয়োজনীয় হাজিরা এবং কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ আটকাতে ফের কড়া অবস্থান নিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। মঙ্গলবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য নেতৃত্বকে শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন পরীক্ষায় বসতে গেলে ৬০ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক। এই নিয়মের কোনও ব্যতিক্রম হবে না। সেই সঙ্গে কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধের নির্দেশও দেন। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে আজ, বুধবার বেহালা এবং সেন্ট পলস কলেজে যাচ্ছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।

শিক্ষামন্ত্রী এদিন সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্র্রী বলেন, কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেন বহিরাগতরা হস্তক্ষেপ না করে। বহিরাগতরা যেন কলেজে না ঢোকে। কোনও বহিরাগত যাতে কলেজে ঠাঁই না পায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসতে গেলে ৬০ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক। ছাত্র সংসদের কোনও সদস্য যেন কম হাজিরা রয়েছে এমন পড়ুয়ার পাশে না দাঁড়ায়। কলেজে ক্লাস করতেই হবে। ক্লাস না করে পরীক্ষায় বসার '‌আবদার'‌ কোনও মতেই মানা হবে না। এদিনের বৈঠকে এই বিষয়টিও ফের স্পষ্ট করেন শিক্ষামন্ত্রী। সংগঠনের কোনও ব্যাপারে যেন বহিরাগতরা কোনও বক্তব্য না পেশ করে। এ ব্যাপারে যা বলার এবং যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেটা রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য নেবেন বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। বেহালা কলেজের ছাত্রছাত্রীদের একাংশের সঙ্গেও এদিন কথা বলেন তিনি। হাজিরা না থাকার কারণ হিসেবে অনেকে অসুস্থতা, অন্য কলেজে আসা ইত্যাদি উল্লেখ করেছেন। এই বিষয়গুলির সত্যতা খতিয়ে দেখতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তৃণাঙ্কুর বলেন, '‌৬০ শতাংশ ক্লাস করতেই হবে, শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত। কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়েও উনি সর্তক করেছেন। তবে ৬০ শতাংশ হাজিরা নেই এমন অনেক সাধারণ ছাত্রছাত্রী শারীরিক অসুস্থতা–সহ একাধিক কারণ জানিয়ে পরীক্ষায় বসার আবেদন জানিয়েছেন। এই বিষয়গুলির সত্যতা খতিয়ে দেখতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।'‌

প্রসঙ্গত, কলেজের হাজিরা খাতায় নাম নেই কিন্তু পরীক্ষায় বসার দাবিতে পড়ুয়া বিক্ষোভ চলছে বেহালা এবং সেন্ট পলস কলেজে। হাজিরা না থাকায় বেহালা কলেজের ২০০ জন পড়ুয়াকে আটকে দেওয়া হয়েছে। ফেস্ট নিয়ে গোলমাল না মিটতেই হাজিরা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়েছে সেন্ট পলসে। সোমবার ন্যূনতম হাজিরা নেই এমন পড়ুয়াদের হাতে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও ছিলেন অধ্যক্ষ–সহ শিক্ষকেরা। কলেজের ২৯০ জন পড়ুয়া হাজিরা না থাকায় পরীক্ষায় বসতে পারছেন না। ফেস্ট নিয়ে কলেজের গোলমালে বহিরাগতদের নাম জড়িয়েছে। বেহালা কলেজের অধ্যক্ষ শর্মিলা মিত্র বলেন, '‌চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেমে হাজিরার ওপর নম্বর রয়েছে।  ক্লাস না করলে এই নম্বর দেওয়া সম্ভব নয়। যারা ক্লাস করেছে তাদের প্রতি অন্যায় হবে। ছাত্রছাত্রীদের বুঝতে হবে।'‌‌‌