শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নামে ৯ লক্ষ টাকার প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা


বনগাঁ: মুখ্যমন্ত্রী দলীয় স্তরের ছোট-বড় সব নেতৃত্বকে যতই দূর্নীতিমুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেন না কেন তাতে যে কাজের কাজ কিছুই হয়নি তার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। ফের দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠল শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা মহকুমা। অভিযুক্ত বাগদা ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি হিজবুর রহমান মণ্ডল। অভিযোগ, স্কুলে পাকাপাকি স্থায়ী চাকরি দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত হিজবুর ওই বাগদা এলাকারই কয়েক জনের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা তুলে নিয়েছেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি দিতে পারেননি। স্থানীয় বাগী গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম মন্ডলের অভিযোগ, তিনি তাঁর কন্যা সাবিরা ও ভাই আশরাফুল মণ্ডলের শিক্ষকের চাকরির জন্য ওই তৃণমূল নেতাকে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সময়মতো চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ইব্রাহিমকে খুনের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দিশেহারা ইব্রাহিমবাবু অবশেষে দ্বারস্থ হন পুলিশের।

অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে শুধু প্রতারণাই নয়, আগেও তার বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। গত কয়েক বছর আগে দুলাল বরকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল হিজবুরের বিরুদ্ধে। বরাতজোরে বেঁচে যান দুলাল বর। অভিযোগ জানালেও পুলিশ ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তারের সাহস দেখায়নি। এছাড়াও গত কয়েক দিন আগেও বাগদায় উপেন বিশ্বাস ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ ওঠে হিজবুর ও তার শাগরেদদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পরও বাগদা এলাকায় পুলিশের সামনে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি দিনের পর দিন দাদাগিরির মাত্রা বেড়েছে হিজবুরের। প্রসঙ্গত, দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগে গত কয়েক বছর আগে অভিযুক্ত হন বাগদার তৃণমূল সভাপতি তুলসী বিশ্বাস। ঘটনার পরই ড্যামেজ কন্ট্রোলে অভিযুক্ত তুলসীকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। এবার পালা হিজবুরের। ভবিষ‍্যতে কী হয় সেটাই এখন দেখার। অভিযুক্ত অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এক নিমেষে।