মোদির ফসল বিমায় পোয়া বারো অনিল আম্বানিদের!‌


রাফাল কেলেঙ্কারির চেয়েও বড় কেলেঙ্কারি ঘটে যাচ্ছে কেন্দ্রের ফসল বিমা প্রকল্পে। অনিল আম্বানির রিলায়েন্স–‌সহ কর্পোরেট ক্ষেত্রের কিছু বাছাই–‌করা বিমা কোম্পানিকে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বিপুল অর্থ। নির্দিষ্ট দৃষ্টান্ত–‌সহ অভিযোগ আনলেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী পি সাইনাথ। তাঁর অভিযোগ নজরে পড়েছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর। তিনি টুইট করেছেন, '‌রাফাল চুক্তিতে বায়ুসেনাকে লুঠ করার পর এবার কৃষকদের লুঠ করা হচ্ছে ফসল যোজনার নামে।'‌

সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের খবর, সাইনাথ বলেছেন, '‌রাফাল কেলেঙ্কারির চেয়েও বড় রকমের এক চক্রের কাণ্ডকারখানা চলছে প্রধানমন্ত্রী বিমা ফসল যোজনায়, যেখানে রিলায়েন্স, এসারের মতো বাছাই–‌করা কিছু গোষ্ঠীর কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে বিমার দায়িত্ব।'‌ মহারাষ্ট্র থেকে একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি খোলসা করেন সাইনাথ। জানান, মোটামুটি ২.‌৮ লাখ কৃষক সেখানে সয়া চাষ করেন। একটি জেলায় প্রধানমন্ত্রী বিমা ফসল যোজনায় কৃষকেরা প্রিমিয়াম বাবদ দিয়েছেন ১৯.‌২ কোটি টাকা, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে ৭৭ কোটি টাকা করে। মোট ১৭৩ কোটি টাকা পেয়েছে রিলায়েন্স জেনারেল ইনশিওরেন্স। রাফাল দুর্নীতি জড়িত সেই অনিল আম্বানির সংস্থা এটি— অনিল ধীরুভাই আম্বানি গোষ্ঠীর কোম্পানি। এবার পুরো চাষ নষ্ট হয়ে গেল। তাতে ক্লেম বাবদ ৩০ কোটি টাকা মেটাতে হয়েছে বিমা কোম্পানিটিকে। কোম্পানির হাতে লাভ থেকে গেল ১৪৩ কোটি টাকা। একটি টাকাও লগ্নি না–‌করেই এই মুনাফা। উল্লেখ্য, জম্মু–‌কাশ্মীরে কর্মচারীদের একটি বিমা প্রকল্পেও বিতর্কে জড়িয়েছিল অনিল আম্বানির এই বিমা সংস্থা। কর্মচারীদের বাধ্য করা হয়েছিল প্রিমিয়াম দিতে। কিন্তু জালিয়াতির অভিযোগে পরে রাজ্যপাল প্রকল্পটি খারিজ করে দেন।

সাইনাথ আরও অভিযোগ করেন, কৃষকদের আত্মহত্যার তথ্য লুকোচ্ছে বিজেপি সরকার। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আত্মঘাতী কৃষকের পরিসংখ্যান দিয়েছে। মোট ২০ বছরে মোট ৩.‌১ লাখ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু এর পরের দু'‌বছরের হিসেব আর দেওয়া হচ্ছে না। সরকার চেপে যাচ্ছে তথ্য। সাইনাথ জানান, স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার দাবিতে এ মাসের ২৯–‌৩০ তারিখ দিল্লিতে সংসদ অভিযানে যাবেন কৃষকেরা।