কেউ বানিয়েছে ড্রোন, কেউ রেসিং কার, প্রশংসিত হল পড়ুয়াদের উদ্ভাবনী দক্ষতা


‌‌স্কুলের পড়ুয়ারা তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রমাণ দিল। '‌কলকাতা মিনি মেকার ফেয়ার'‌–‌এ এমনই ২০০টি প্রকল্প দেখানো হল। সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল লা মার্টিনিয়ার, ডিপিএস মেগাসিটি, আদিত্য অ্যাকাডেমি স্কুলের পড়ুয়ারা।

ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন আইআইটি, আইআইইএসটি, এনআইটি–‌র পড়ুয়ারাও। আগামী দিনে এঁরাই প্রযুক্তির সঙ্গে অন্যান্য ক্ষেত্রেও নিজেদের কৃতিত্ব রাখবেন, বলাই যায়। প্রদর্শনীতে যেমন দেখা গেল ফ্যালকন নামে একটি ড্রোন। পাশাপাশি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে চালিত পুতুলও। এছাড়াও দেখানো হয়েছিল বীরভূমের ডোকরা এবং হ্যান্ডলুমের কাজ। কলকাতা মিনি মেকার ফেয়ার আদতে তরুণ প্রতিভাকে সামনে তুলে আনার এক প্রচেষ্টা। এখানে দেখা গেল বিদ্যুতের শক থেকে বাঁচতে বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের সার্কিট তৈরি করেছেন পড়ুয়ারা। কীভাবে জলের অপচয় বন্ধ করা যায়, তার জন্য যন্ত্র, অবাঞ্ছিত লোকজন যাতে না ঢুকে পড়ে সেজন্য দরজায় সেন্সর লাগানোর কথাও বলছেন তাঁরা। মেলায় দেখা গেল, বিভিন্ন ধরনের হালকা ট্রাক্টর, মোটরযান, রেসিং কার তাঁরা তৈরি করেছেন। শুধু প্রযুক্তির বিষয়ই নয়, বিজ্ঞান, শিল্পকলার জগতেও কমবয়সি ছেলেমেয়েরা কী অসাধারণ দক্ষতায় নিজেদের প্রতিভার পরিচয় দিচ্ছেন, যা না দেখলে বোঝা যায় না। বিভিন্ন নামী–‌দামি সংস্থার পদাধিকারীরা এসেছিলেন এই মেলা দেখতে। তাঁরা অবাক হয়ে দেখেছেন, কমবয়সি পড়ু্্য়াদের মেধার আলো।
ইতিমধ্যেই মিনি মেকার ফেয়ার দেশে সাড়া ফেলেছে। এই মেলায় দেখা গেল, প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে নিরাপত্তা নজরদারি, এমনকী ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করাও কীভাবে সম্ভব। বিজ্ঞান ও বাণিজ্যের এক সমন্বয় হয়েছিল এখানে। তবে সবচেয়ে নজর কেড়েছে খুদে প্রতিভারাই। ‌‌এই মেলায় দেখা গেল, বিভিন্ন কলেজের ছেলেমেয়েরা তাঁদের পেইন্টিংও নিয়ে এসেছেন। সেগুলিও সুন্দর। এ বছর প্রায় ৮০০ প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। মতবিনিময়ও হয়েছে বিভিন্ন বড় সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে।