যোগ্যতায় সমান বেতনে নয়, বৈষম্য ঘোচাতে সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল-সকাশে শিক্ষকরা


বেতন বৈষম্যের অভিযোগ রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিল উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ১২ জনের শিক্ষক প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এই ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী, আবদুল মান্নান, শিক্ষক-সাংসদ আমজাদ হোসেন।


বেতন বৈষম্য অব্যাহত, রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি
এদিন রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মান উচ্চবিদ্যালয়ের সমান করা হলেও বেতন বৈষম্য অব্যাহত রয়ে গিয়েছে। হাইস্কুল শিক্ষকদের তুলনায় প্রাইমারি শিক্ষকরা ১০ হাজার টাকা করে কম বেতন পান। প্রায় ২৫ মিনিট ধরে রাজ্যপাল সমস্ত অভাব-অভিযোগ শোনেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন।


রাজ্যপালের আশ্বাস শিক্ষকদেরকে
রাজ্যপাল জানান, তিনি দিনকয়েক দার্জিলিং সফরে ব্যস্ত থাকবেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি তদ্বির করবেন এই বিষয়ে। বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী ও বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানও জানান, ১৬ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে বিধানসভায়। সেখানেও এই বিষয়টি উত্থাপণ করবেন তাঁরা।


রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা
এদিন বেতন বৈষম্য নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মইদুল ইসলাম। যেভাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করা নিয়ে নজরুল মঞ্চে পাল্টা সমাবেশের ডাক দিয়েছে তৃণমূল, তার কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। তৃণমূলের এই সমাবেশের বিরোধিতা করে ২৩ নভেম্বর সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত এক মহামিছিলের ডাক দিয়েছে উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন।


পুলিশি ধরপাকড়ের প্রতিবাদে শিক্ষকরা
গত ২৯ অক্টোবর শহিদ মিনারের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে দু'দিনের অবস্থান বিক্ষোভ করেছিল উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। সেই অবস্থান বিক্ষোভে শিক্ষকরা কলকাতার রাজপথ অবরোধও করেছিলেন। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষককে ছ-ঘণ্টা লালবাজারে আটকে রাখে পুলিশ। সেদিনের পুলিশি ধরপাকড়ের কথাও এদিন রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরেন শিক্ষক প্রতিনিধিরা।