খাশোগি হত্যায় ১৭ সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার


ইস্তানবুলে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের ১৭ জন নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা। 

খাশোগি হত্যায় এই প্রথম জোরদার পদক্ষেপ করল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। নিষিদ্ধ সৌদি নাগরিকদের তালিকায় রয়েছেন যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ সহচর সাউদ আর-কাহতানি এবং তুরস্কের সৌদি কনসাল জেনারেল মহম্মদ আলোতাইবি। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন কাহতানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাহের মুতরেব, যাঁকে যুবরাজ মহম্মদের মার্কিন ও ইউরোপ সফরের সময় একাধিক ফোটোতে দেখা গিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত অভিযোগ ও দুর্নীতি রোধে প্রণোদিত আন্তর্জাতিক ম্যাগনিট্‌স্কি মানবাধিকার দায় আইন অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন রাজস্ব সচিব স্টিভেন নিউচিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'আমেরিকায় বসবাস ও কর্মরত সাংবাদিককে যারা নিশানা ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে, তাদের নিজেদের কৃতকর্মের জন্য কঠোর ফল ভোগ করতে হবে। রাজনৈতিক মতবাদী ও সাংবাদিকদের হিংসার নিশানা বানানো রুখতে সৌদি আরব সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে।'

রিয়াধের বিরুদ্ধে এযাবত্‍ এমন কঠিন পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি আমেরিকাকে। 

এদিকে এদিন খাশোগি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ১১ জনের মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ডের আর্জি জানিয়েছে সৌদি আরবের সরকারি আইনজীবীর দফতর। 

প্রসঙ্গত, ২ অক্টোবর সৌদি নীতির কট্টর সমালোচক জামাল খাশোগিকে ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে হত্যা করা হয়। সৌদি সরকারের সহকারি প্রধান আইনজীবী তথা মুখপাত্র শালান আল-শালান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধস্তাধস্তির পরে বিষ ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে তাঁকে খুন করা হয়। তার পরে তাঁর শরীরের অঙ্গহানি করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে এক অজ্ঞাতপরিচয় স্থানীয় সহকারীর হাতে তুলে দেয় দুষ্কৃতীরা। শালানের দাবি, এই অপরাধ সম্পর্কে সৌদি যুবরাজ সলমন কিছু জানতেন না।